জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা। ফেলে দেওয়া জিনিস পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো পাওয়া গেলে তাকে কাজে লাগানোতেই বিচক্ষণতার প্রমাণ মেলে। তার ওপর সেই জিনিস যদি হয় চন্দনকাঠের মতো মূল্যবান কিছু।
বিশ্বভারতীর বিরাট এলাকা জুড়ে আজও চোখে পড়বে প্রচুর চন্দন গাছ। সংখ্যাটা কয়েক বছর আগেও ছিল অনেক বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে গিয়েছে বহু চন্দন গাছ। বর্তমানে সেগুলি জমানো রয়েছে রবীন্দ্রভবনের একপাশে। ভবন সূত্রে জানা যায়, কাঠের পরিমাণ আপাতভাবে ২ কুইন্টালের বেশি। তাই এবার ভাবনা চলছে এই কাঠ দিয়ে ভাস্কর্য তৈরির।
রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, এই বিরাট পরিমাণ চন্দনকাঠ নষ্ট হচ্ছে পড়ে থেকে। অনেকটা জায়গা জুড়ে এগুলি রাখা থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না জায়গাটিও। তাই অমূল্য সম্পদের সেরা নিদান ভাস্কর্যে রূপদান। প্রাথমিক ছাড়পত্র পাওয়া গেলে শুরু হবে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।