Let’s Go

পাথরের স্তম্ভ থেকে বেরিয়ে আসছে মন ভোলানো সুর, এদেশেই এমনটা সম্ভব

সুরের তালে বেজে ওঠে বাদ্যযন্ত্র। এ তো সকলেই দেখেছেন। কিন্তু কখনও কোনও স্থাপত্যের স্তম্ভগুলিকে সুরে বাজতে শুনেছেন। এমন সুর তোলা স্তম্ভ কিন্তু এদেশেই রয়েছে।

সুর মানুষের মন ভাল করে দেয়। বাদ্যযন্ত্র সঠিক হাতে যে সুর তুলতে পারে তা যে কোনও মানুষকে বিভোর করে দিতে পারে। সুরপ্রেমীরা তাই এমন কত গান, কত সুর শুনে থাকেন। মানুষের সুরেলা কণ্ঠ হোক বা বাদ্যযন্ত্র, সুরের ঝংকার তো উঠতেই পারে।

কিন্তু পাথরের স্তম্ভও যে সুর তুলতে পারে, সুরের আবহ তৈরি করতে পারে, একে একে বেজে উঠতে পারে আশপাশের স্তম্ভগুলি, তা হয়তো চোখে না দেখে আর কানে না শুনে বিশ্বাস করা কঠিন।


কিন্তু ঠিক এটাই হয় এই ভারতে। কর্ণাটকের হাম্পিতে রয়েছে ভিট্টল মন্দির। সেই মন্দিরে ৫৬টি গ্রানাইট পাথরের স্তম্ভ রয়েছে। যেমন অন্য প্রাচীন মন্দিরগুলির স্থাপত্যে পাথরের স্তম্ভ ব্যবহার হয় তেমনই। তবে কেবল এই মন্দিরের পাথরের স্তম্ভগুলি সুরেলা।

সেগুলি থেকে সুর বেরিয়ে আসে। কান জুড়িয়ে দেয়। পঞ্চদশ শতাব্দীর এই মন্দির সে সময়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক অন্যতম আশ্চর্য। এমন সুর তোলা স্তম্ভ কীভাবে সৃষ্টি হল সেটা রীতিমত অবাক করে আজও।


বলা হয়, এই স্তম্ভগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে সেগুলি অনেকটা বাদ্যের তারের মত হয়। বাদ্যের টানটান তারে আঙুলের ছোঁয়া পড়লে যেমন সুর বেজে ওঠে ঠিক তেমন।

সেই সঙ্গে এগুলির ওজন ও পরিমাপের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। এমন গ্রানাইট পাথর ব্যবহার করা হয় যাতে এই সুর ওঠে। স্তম্ভগুলি আবার কিছুটা ফাঁপাও।

সেই ফাঁপা স্তম্ভের ভিতর থেকে কীভাবে সুর বেরিয়ে আসে তা জানতে নাকি ইংরেজরা এর ২টি স্তম্ভ মাঝখান থেকে কেটে পরীক্ষাও করেছিল। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারেনি।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button