
সেনাকে ঠিকমত কাজ করতে দেওয়া হলে মৃতের সংখ্যা কমানো যেতে পারত। এমনই দাবি করছেন পোস্তার স্থানীয় মানুষের একাংশ। কলকাতা পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সেনা দেরিতে এলেও তাঁরা আসার পর বিবেকানন্দ উড়ালপুলের উদ্ধারকাজ গতি পায়। কিন্তু সন্ধের পর তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। এজন্য কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁরা। যদিও ঘণ্টা তিনেক পর সমস্যা মিটলে সেনা ফের কাজ শুরু করে। কিন্তু যে সময়টা মাঝে সেনা কাজ করতে পারল না তাকে অমূল্য সময় হিসাবেই দেখছেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের দাবি, ওই সময়ে সেনা পুরোদমে কাজ করলে হয়তো আরও কয়েকটা প্রাণ বাঁচলেও বাঁচতে পারত। এদিকে শুক্রবার দুপুরের দিকে সেনার তরফে দাবি করা হয় ধংসস্তূপের তলায় আর কেউ চাপা পড়ে নেই। সাফইও অনেকটাই এগিয়েছে। উড়ালপুলের ঝুলতে থাকা বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলারও উদ্যোগ নেন তাঁরা। এজন্য আশপাশের বাড়ি ফাঁকা করা শুরু হয়। ঘটনাস্থল থেকে এদিন তদন্তের স্বার্থে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত উড়ালপুল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ জন। আহত ৯০ জন। যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।