
বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভেঙে পড়ার মুহুর্তের যে ছবি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তা দেখে এদিন শিউরে উঠল গোটা দেশ। আর পাঁচটা ব্যস্ত দিনের মতই যে যাঁর কাজে উড়ালপুলের তলা দিয়ে যাচ্ছিলেন। যাচ্ছিল প্রচুর গাড়িও। হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে উড়ালপুলটি। শেষমুহুর্তে কয়েকজন ছুটে পালাতে সক্ষম হলেও অধিকাংশ মানুষই উড়ালপুলের নিচে চাপা পড়ে যান। আশপাশের মানুষ নির্মাণকাজের গাফিলতির দিকে আঙুল তুললেও সেকথা অস্বীকার করেছেন নির্মাণকারী সংস্থার দুই বড়কর্তা। হায়দরাবাদের আইভিআরসিএল সংস্থা এই কাজ করছিল। সূত্রের খবর, সংস্থার মাথায় মোটা অঙ্কের দেনা রয়েছে। এ নিয়ে কয়েকটি মামলাও তাদের বিরুদ্ধে চলছিল। দীর্ঘদিন আর্থিক সংকটে কাটাচ্ছে সংস্থাটি। এদিন দুর্ঘটনার খবর পৌঁছনোর পরই দুপুরের দিকে হায়দরাবাদে সংস্থার সদর দফতর আচমকাই ফাঁকা হয়ে যায়। কলকাতার অফিসও ছিল তালা বন্ধ। যদিও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সংস্থার দুই কর্তা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় তাঁরাও আতঙ্কিত। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কথা মানতে চাননি তাঁরা। তাঁদের দাবি, ভেঙে পড়ার কারণ পরিস্কার নয়। বরং প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছিল বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। কেএমডিএ-র তত্ত্বাবধানেই এই কাজ এগোচ্ছিল বলেও দাবি করেছেন সংস্থার এই দুই কর্তা। ২০০৮ সালে এই উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু প্রথম থেকেই কাজ এগোচ্ছিল ঢিমেতালে। জমি সমস্যা এই উড়ালপুল তৈরির ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। জটিলতা কাটিয়ে ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে কাজ অল্পবিস্তর এগোলেও তা কোনও দিনই গতি পায়নি। এদিকে এদিনের দুর্ঘটনার দায় নির্মাণকারী সংস্থা এড়ানোর চেষ্টা করলেও এ দায় তাদেরই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।