বুলেটের খোলের ছোঁয়ায় ক্রমশ ফুটে উঠেছে পুতিনের মুখ, ছড়াল সোশ্যাল মিডিয়ায়
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ চলছে। তার মধ্যেই বুলেটের খোলের ছোঁয়ায় ক্রমশ ফুটে ওঠা পুতিনের মুখের মোজাইক নিয়ে হৈচৈ সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শিল্পের ভাষা যে সব সময় বুলেটের ভাষার চেয়ে শক্তিশালী তা ফের একবার প্রমাণ হল। রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনে এখন বিভিন্ন জায়গায় হাহাকারের ছবি। মৃত্যু মিছিল। এক এক শহর থেকে উদ্ধার হচ্ছে সাধারণ মানুষের দেহ।
পিছমোড়া করে বেঁধে মানুষকে হত্যা করছে রাশিয়ার সেনা বলে অভিযোগ সামনে আসছে। বিভিন্ন শহরে আছড়ে পড়ছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র।
এই হাহাকারের মধ্যেই ইউক্রেনের মানুষ তাঁদের দেশের জন্য লড়াই করছেন। নিজেদের মত করে এই লড়াই চালাচ্ছেন তাঁরা। ইউক্রেনের ১ শিল্পী তাই তাঁর ভাষায় প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে।
বুলেটের খোল একত্র করে ইউক্রেনের শিল্পী দারিয়া মারচেনকো এক নয়া শিল্পের জন্ম দিয়েছেন। ৫ হাজার বুলেটের খোল জড়ো করে তিনি তাঁর ভাষায় প্রতিবাদে শামিল।
ওই খোল দিয়ে তিনি তৈরি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি মোজাইক অবয়ব। যা ট্রু ফেস অব ওয়ার বা যুদ্ধের আসল মুখ হিসাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মহিলা শিল্পীর এই প্রতিবাদের ভাষা এখন হুহু করে ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এর মধ্যেই আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে।
যে পুতিনের মোজাইক নিয়ে এত হইচই, সেটি কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের সময় তৈরি হয়নি। এটা তৈরি হয়েছিল ২০১৫ সালে। ২০১৪ সালে ইউক্রেন আপ রাইজিংয়ের পর। তাই শিল্প সঠিক হলেও তা সমসাময়িক নয় বলেই সামনে এসেছে।