ধর্ষণে অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণ হলে তাদের যত দ্রুত সম্ভব মৃত্যুদণ্ড দেওয়া নিয়ে সোচ্চার গোটা দেশ। এজন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের দাবি উঠেছে। এমনকি হায়দরাবাদের ঘটনার পর এনকাউন্টারে এমন অপরাধীদের মেরে ফেলার পক্ষেও গোটা দেশ সরব।
আবার সংসদে দাঁড়িয়ে জয়া বচ্চনের মত অভিনেত্রী তথা সাংসদ জানিয়েছেন, ধর্ষকদের আমজনতার দরবারে ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাঁরা তাদের পিটিয়ে হত্যা করে উপযুক্ত শাস্তি দেবেন। ধর্ষণে যুক্তদের পিটিয়ে মারার পক্ষে সুরও চড়ান তিনি। যখন ধর্ষণ করলে তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই বলেই সহমত দেশের সিংহভাগ, সেখানে একদম অন্য কথা বললেন এক সময়ে বলিউডের দাপুটে অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান।
৮১ বছরের ওয়াহিদাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তেলেঙ্গানায় তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে হত্যা ও পরে তাঁর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার মত শিউরে দেওয়া ঘটনা নিয়ে। তাতে ওয়াহিদা বলেন, এমন জঘন্য অপরাধ যারা করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া দরকার, তবে কারও প্রাণ নেওয়ার অধিকার মানুষের নেই। তাই তাকে আজীবন কারাবাসের শাস্তি বিধান দেওয়া হোক।
ওয়াহিদা আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণ হলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়া চালানোর কোনও মানেই হয়না। ওসব দরকার নেই। সরাসরি তাকে সারাজীবনের জন্য কারাদণ্ড দেওয়ার রীতি চালু হোক। কারণ যে ধর্ষণ করেছে বলে প্রমাণিত তার বিরুদ্ধে মামলা করা, তার বিচার চলার কোনও দরকারই নেই। অভিযোগ তো প্রমাণিত। সেক্ষেত্রে আইন, আদালত করে জনগণের অর্থ অপচয়ের কোনও প্রয়োজন নেই। এমন ব্যবস্থা হোক যে এমন জঘন্য অপরাধ করলে তাকে আজীবন কারাগারেই কাটাতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা