নাচে দক্ষ ছিলেন এই বিখ্যাত নবাব, সভায় নর্তকীদের সঙ্গে নাচতেনও
নিজের রাজসভায় যখন নাচের আসর হত তখন তিনি নিজেও নৃত্যরত নারীদের সঙ্গে নাচে যোগ দিতেন। এতটাই পারদর্শী ছিলেন এই বিখ্যাত নবাব।
রাজা আর নাচ, এই ২টি শব্দ ভারতীয় রাজাদের জীবনে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকত। অধিকাংশ রাজাই সভায় নাচ ও গানের আসর বসাতেন। রাজ্যের দক্ষ শিল্পীদের সেখানে আনা হত। তাঁরা যখন সভাঘরে নাচতেন তখন তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতেন রাজা স্বয়ং।
এমন ভাবার কারণ নেই যে এটা ছিল রাজার খেয়াল বা বিলাস। ইনি নাচে ছিলেন দক্ষ। বিশেষত কত্থক নাচের ওপর তাঁর ছিল যথেষ্ট দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ।
কত্থক নাচ তিনি শুধু বুঝতেন বা নিজে কত্থক নাচতে পারতেন এমনটাই নয়, তিনি কত্থকের নতুন এক লখনউ ঘরানা তৈরি করে ফেলেছিলেন। তিনি কত্থক শেখার জন্য গুরুর কাছে তালিমও নিয়েছিলেন। ফলে অত্যন্ত পারদর্শী এক কত্থক শিল্পী হিসাবে তিনি সুনাম অর্জন করেন।
এই বিখ্যাত রাজার নাম নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ। ওয়াজিদ আলি শাহের শিল্প চেতনা নিয়ে আজও চর্চা হয়। তিনি কত্থক নৃত্যশৈলীকে এতটাই আত্মস্থ করতে পেরেছিলেন যে অনেকগুলি নৃত্যনাটিকাও তৈরি করেছিলেন। যার প্রতিটিই ছিল কত্থকের ওপর ভিত্তি করে।
রহস নামে এই নৃত্যনাটিকাগুলি ওয়াজিদ আলি শাহর এক অনন্য সৃষ্টি হিসাবে ধরা হয়। এই সব রহস বা নৃত্যনাটিকাতে ওয়াজিদ আলি শাহ নিজেও নৃত্য পরিবেশন করতেন। তাঁর নাচ বোদ্ধাদেরও মুগ্ধ করত।
ওয়াজিদ আলি শাহ নিজেই এগিয়ে যেতেন নর্তকীদের সঙ্গে নাচে যোগ দিতে। নাচ দেখলে তিনি নিজের নৃত্য ক্ষমতাকে অবজ্ঞা করে এড়িয়ে যেতে পারতেন না। একজন নবাব সিংহাসন থেকে নেমে নাচছেন, এটা ভাবতে অবাক লাগলেও নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ ঠিক এমনটাই করতেন।