চানঘরে গুপ্তকক্ষ, বাথটব সরাতেই মিলল হাড় হিম করা বস্তু
বাথরুম তো সব বাড়িতেই থাকে। সে বাথরুমের মেরামতিরও প্রয়োজন পড়ে। সেটাই করার কাজ হচ্ছিল। তখনই হাড় হিম করা এক সত্যের মুখোমুখি হলেন শ্রমিকরা।
বাড়ির চারতলায় রয়েছে বাথরুমটা। সেই বাথরুমের মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি সংস্থাকে। শ্রমিকরা এসে বাথরুম নতুন করে সাজিয়ে তোলার কাজে হাত লাগান। শুরু হয় বাথরুমে প্রয়োজনীয় ভাঙাভাঙি। এই সময় বাথরুমে থাকা একটি বাথটবকে সরানোর কাজ চলছিল।
বাথটব সরিয়ে বাথটব সংলগ্ন দেওয়াল ভাঙা শুরু হয়। সেই দেওয়াল ভাঙতেই যা দেখলেন ওই কন্ট্রাক্টর তাতে তাঁর আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়।
তিনি ও শ্রমিকরা ছুটে বেরিয়ে আসেন বাথরুম থেকে। সময় নষ্ট না করে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু তারপরেই তাঁদের মনে হয় একবার জিনিসটার ছবি তুলে রাখা দরকার।
কনট্রাক্টর ফেরত যান বাথরুমে। দেওয়ালের পিছনে থাকা গুপ্ত কক্ষের মধ্যে রাখা গ্রেনেডগুলির ছবি তোলেন তিনি। বেশ কাছ থেকেই ছবি তোলেন। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
পুলিশ এসে বম্ব স্কোয়াডকে ডেকে পাঠায়। বম্ব স্কোয়াড এসে নিশ্চিত করে সেগুলি গ্রেনেডই, তবে তার আর ফাটার সম্ভাবনা নেই। সেগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গ্রেনেড বলেই মনে করা হচ্ছে।
সে সময় অনেকে বাড়িতে গ্রেনেড এনে লুকিয়ে রাখতেন বলে আগেই জানা গিয়েছিল। এক্ষেত্রে তেমনই কিছু হয়েছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
যিনি রেখেছিলেন, তিনি পরে ভুলে গিয়েছিলেন যে বাথরুমের গুপ্তকক্ষে তিনি গ্রেনেড লুকিয়ে রেখেছেন। আবার এমনও হতে পারে যে তিনি তা আর বার করার সময় পাননি।
কারণ যাই হোক ওয়াশিংটনের এই বাথরুমে গ্রেনেড উদ্ধার খবর হতে সময় নেয়নি। দ্রুত তাবড় সংবাদমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।