প্রবল গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে লাইন ছেড়ে ট্রেন উঠে এল সোজা রাজপথে। ট্রেনের তলায় চাপা পড়ে যায় ২টি লরি ও ৫টি চারচাকা গাড়িসহ কয়েকটি বাইক। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্ততপক্ষে ৬ জন যাত্রী। আহত শতাধিক।
উদ্বোধনী যাত্রা যে এমন অভিশপ্ত যাত্রায় পরিণত হবে তা বোধহয় কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি ট্রেন কর্তৃপক্ষ থেকে যাত্রীরা। গত সোমবার সকালে অ্যামট্র্যাক থেকে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে প্রথম যাত্রার জন্য রওনা দেয় দ্রুত গতিসম্পন্ন অ্যামট্র্যাক ক্যাসকেড ৫০১। ওয়াশিংটনের টাকোমার কাছে দুরন্ত গতি সামলাতে না পেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটি। ট্রেনের ১৪টি কামরার মধ্যে ১৩টি কামরা সেতু থেকে সোজা গিয়ে আছড়ে পড়ে রাস্তার উপর। সাতসকালে ঘাড়ের উপর মৃত্যুদূতের নিঃশ্বাস সামলানোর সুযোগ পর্যন্ত পাননি রাস্তা দিয়ে ছুটে চলা গাড়িচালকরা। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় টাকোমার যান চলাচল ব্যবস্থা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধারকার্যে হাত লাগান স্থানীয় মানুষ ও উদ্ধারকারী দল। ট্রেনের ৭৮ জন যাত্রী ও ৫ জন কর্মীর মধ্যে অধিকাংশকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীদের পরিবারকে ট্যুইটে পরে সমবেদনা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শোকজ্ঞাপন করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা তার তদন্ত শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।