ঘড়ি পৌঁছে দিল খবর, কবর খুঁড়ে বেঁচে বেরিয়ে এলেন মহিলা
কথায় বলে রাখে হরি মারে কে! সেটাই ফের একবার সত্যি হল। এক মহিলার আশ্চর্য বেঁচে ফেরা এখন মুখে মুখে ঘুরছে। হাতে থাকা ঘড়ির ভূমিকাও অনন্য।
উন্মত্তের মত দরজায় ধাক্কা দিচ্ছেন এক মহিলা। রক্তাক্ত, বিধ্বস্ত অবস্থা মহিলার। ওই বাড়িটি তাঁর সামনে পেয়ে তিনি সেখানেই দরজা ধাক্কা দিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু এমন পরিস্থিতি কীভাবে হল ওই মহিলার? সে কাহিনি রীতিমত গায়ের রোম খাড়া করে দিতে পারে।
এভাবেও যে বেঁচে ফেরা যায় তা সত্যিই অকল্পনীয়। ৪২ বছরের ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর ৫৩ বছর বয়স্ক স্বামীর ডিভোর্সের মামলা চলছে। ওইদিন ঘরে বসে স্বামী স্ত্রীর কথা হচ্ছিল খোরপোষ নিয়ে।
খোরপোষের অঙ্ক শুনে আচমকাই রেগে ওঠে স্বামী। শুরু হয় ঝগড়া। সেই অবস্থায় ওই মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের ঘরে পোশাক বদলাতে যান।
তাঁর পিছু পিছু ঘরে ঢোকে তাঁর স্বামী। তারপর তাঁর মুখে ও মাথায় আঘাত করে মেঝেতে ফেলে দেয়। হাত পা বেঁধে দেয় টেপ জড়িয়ে।
স্বামী এরপর সামান্য সময়ের জন্য ঘর থেকে বার হতেই আহত ওই মহিলা কোনক্রমে তাঁর হাতে থাকা অ্যাপল ঘড়িটি থেকে পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করে জানান তাঁর স্বামী তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন।
এরপর তিনি আর কথা না বলতে পারলেও গোঙানির শব্দ ভেসে আসে। তাঁর স্বামী এসে তাঁকে টেনে নিয়ে যায় গ্যারাজের কাছে। সেখানে পৌঁছে সে বুঝতে পারে মহিলার হাতের স্মার্ট ওয়াচটি রয়েছে।
ওই ব্যক্তি সেটি হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে দেয়। তারপর মহিলাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় একটি জঙ্গলের মধ্যে। সেখানে মহিলার বুকে ছুরি বসিয়ে তারপর মাটি খুঁড়ে তাঁকে পুঁতে দেয়। চে কিয়ং নামে স্বামীর মনে হয় স্ত্রী ইয়ং মারা গেছেন।
কবরের মধ্যেই কয়েক ঘণ্টা পড়ে থাকেন ওই মহিলা। তারপর তাঁর সম্বিত ফিরতে মাটির মধ্যে থেকে কোনও রকমে বেরিয়ে আছেন তিনি। তারপর শরীরটাকে টেনে হিঁচড়ে পৌঁছন জঙ্গলের ধারের একটি বাড়ির সামনে। দরজা ধাক্কা দিয়ে সাহায্য চান।
পুলিশ এদিকে ঘড়ির লোকেশন খুঁজে ইয়ংয়ের বাড়িতে পৌঁছয়। তারপর সেখান থেকে কবর যেখানে দেওয়া হয়েছিল সেখানে। পরে ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছে ওয়াশিংটনে।