এ হরিণ ম্যারাথন সাঁতার কাটতে পারে, শাবক হয় হাতের চেটোর মত
হরিণ নামে পশুটিকে সকলেই চেনেন। এরা যে জলে নামা থেকে দূরে থাকে তাও জানা। কিন্তু এই হরিণ সাঁতার কাটতেই বেশি পছন্দ করে। অবশ্য বিশেষ কারণে।
সুন্দরবনে গেলে বাঘকে সাঁতার কাটতে দেখা নতুন নয়। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সাঁতারে পটু। কিন্তু বাঘের খাদ্য হিসাবে পরিচিত হরিণ নয়। হরিণ কিন্তু জলে নামে না। খুব বেশি হলে জলের ধারে পা ডুবিয়ে জল পান করে।
কিন্তু এ পৃথিবীতে অবাক করা অনেক কিছুই রয়েছে। যেমন একটি বিশেষ প্রজাতির হরিণ রয়েছে যারা সাঁতার কাটতে সিদ্ধহস্ত। জলে ছেড়ে দিলে তারা ৭ মাইল পর্যন্ত পথ একবারও না থেমে সাঁতরে পার করে দিতে পারে। আর সেই জল অনেকক্ষেত্রে সমুদ্রেরও হতে পারে।
তবে এরা শখ করে সাঁতার কাটে না। বিশেষ পরিস্থিতিতে সাঁতার কাটে। চিনের ওয়াটার ডিয়ার হল সেই হরিণ যারা সাঁতার কাটতে পারে। পারার পিছনে রয়েছে খাদ্যের খোঁজ।
এরা দ্বীপে দ্বীপে পৌঁছে যায় খাবারের খোঁজে। কোথাও খাবার কমে এলে তারা জলে নেমে পড়ে। তারপর সাঁতার কেটে অন্য দ্বীপে গিয়ে হাজির হয়। সেখানে খুঁজে দেখে খাবার আছে কিনা। পেলে ভাল। না পেলে ফের সাঁতার কেটে অন্য ভূখণ্ডের খোঁজ।
চাইনিজ ওয়াটার ডিয়ার হরিণের আরও একটি বিশেষত্ব নজর কাড়ে। হরিণের শাবক কতটা বড় হয় তার একটা ধারনা সকলের আছে। তবে চাইনিজ ওয়াটার ডিয়ারের শাবক তুলনায় অনেক ছোট হয়।
এতটাই ছোট হয় যে তা দিব্যি মানুষের হাতের চেটোয় ধরে যায়। প্রসঙ্গত চাইনিজ ওয়াটার ডিয়ার চিনে তো পাওয়া যায়ই, সেই সঙ্গে কোরিয়াতেও এদের দেখতে পাওয়া যায়।