বুধবার রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিনে রাজ্য জুড়েই সকাল থেকে শুরু হয় নানা অনুষ্ঠান। সঙ্গে ছিল অস্বস্তিকর গরম। ঘাম হয়েছে প্রবল। যার জেরে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া মানুষজন যেমন অস্বস্তিতে ভুগেছেন। তেমনই ঘামে সাজগোজ অনেকটাই নষ্ট হয়েছে। এদিকে আবার সূর্য যে সবসময়ে আগুন ঢেলেছে তাও নয়। আকাশে মাঝেমধ্যেই মেঘের দেখা মিলেছে। সূর্যের তেজও ছিল কম। অস্বস্তিটা ছিল ভ্যাপসা আবহাওয়ার। দক্ষিণবঙ্গে যখন এই অবস্থা তখন উত্তরবঙ্গের ছবিটা এদিন সকাল থেকে ছিল একদম আলাদা। ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে বিভিন্ন জেলায়। সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে জমিয়ে। আকাশ কালো করা মেঘে ছেয়ে গেছে উত্তর দিনাজপুর থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ের আকাশ। বৃষ্টি হয়েছে ভালই। ফলে উত্তরবঙ্গে এদিন তুলনামূলকভাবে অস্বস্তি অনেকটাই কম ছিল। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে দিনহাটা ও কোচবিহারের সংযোগকারী রাস্তার ওপর গাছ পড়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
বুধবার সন্ধের দিকে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবারই বর্ধমান, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনার একাংশ ও নদিয়ায় প্রবল কালবৈশাখী আছড়ে পড়ে। সঙ্গে ছিল বৃষ্টি। ঝড়-বৃষ্টিতে বাড়ি ধসে পড়ে কালনা ও গুপ্তিপাড়ায় মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। অনেক বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ে। ফলে কিছু রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।