১০.৬ ছিল আগের দিন। কাঁপছিল কলকাতা। তার ঠিক পরদিনই ১২ ডিগ্রিতে পৌঁছল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম। কিছুটা বাড়ল পারদ। ফলে তুলনামূলকভাবে শীতের অনুভূতি এদিন কিছুটা কম। সোমবার বর্ষশেষের দিন। ওদিন পারদ কোথায় দাঁড়ায় সেদিকে চেয়ে শহরবাসী। কারণ বর্ষশেষের দিন মানেই প্রচুর হুল্লোড়, পার্টি, বেড়ানো, হৈচৈ, গেট টুগেদার। আর গরম পোশাকে শরীরটাকে মুড়ে সেই আনন্দ চুটিয়ে উপভোগেই ষোলোকলা পূর্ণ হয়। তাই শহরবাসী চাইছেন ঠান্ডা থাকুক। আরও পড়ুক পারদ। যদিও এই ঠান্ডা বয়স্ক মানুষজনকে কিছুটা বিপাকে ফেলেছে।
এদিন জেলাগুলিতে কিন্তু ঠান্ডার দাপট বজায় রয়েছে। এদিন বাঁকুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮.১ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতন ৭.৩ ডিগ্রি, দার্জিলিং ২.৪ ডিগ্রি, কোচবিহার ৫.৪ ডিগ্রি। কুয়াশার দাপট ভোরের দিকে থাকলেও একটু রোদ উঠলেই তা উধাও হয়ে যাচ্ছে। এদিন রবিবার হওয়ায় বর্ষশেষের ছুটির আনন্দ এদিন ভরপুর চোখে পড়ছে কলকাতায়। বহু মানুষ পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন পর্যটনস্থলগুলিতে। বনভোজনে মেতেছেন অনেকে।