প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে কলকাতা। অথচ একদিন আগেও তেমন কোনও অনুভূতি ছিলনা। বরং সোয়েটার, শাল, লেপ, কম্বল কেচেকুচে তুলে দেওয়ার কথাই ভাবছিলেন বঙ্গবাসী। কারণ মাঘের মাঝামাঝি এখন। এরপর আর ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা কমই। কিন্তু সেই প্রচলিত ভাবনাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে মাত্র ১ দিনের মধ্যে একধাক্কায় ৫ ডিগ্রি পারদ পতন করে স্বমহিমায় ফিরে এল শীত। হয়তো এটাই শেষ ভাল ঠান্ডা। কিন্তু সেই শেষ কামড়ে শহরকে একেবারে কাবু করে ছেড়েছে ঠান্ডা।
বিহারে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গেও হুহু করে ঢুকছে ঠান্ডা হাওয়া। কদিন ধরে ঠান্ডা হাওয়ার দাপট তা টেরও পাইয়েছে। ফলে পারদ পতন। তাও রেকর্ড পরিমাণ। যার জেরে সমস্যাও হয়েছে। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় প্রায় ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি থাবা বসিয়েছে। এভাবে আচমকা তাপমাত্রার পরিবর্তন শরীর অনেক ক্ষেত্রেই সইতে পারছেনা।
বুধবার শহরের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২.২ ডিগ্রি। আর তার ঠিক আগের দিন শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.১ ডিগ্রি। ফলে নতুন করে শীতে কাবু শহর। একই অবস্থা জেলাগুলিতেও। সেখানেও পারদ পতন মানুষকে চমকে দিয়েছে। কনকন করছে ঠান্ডা। দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১ ডিগ্রি। মালদা ১১ ডিগ্রি। দিঘা ১০, পানাগড় ৬.১, শ্রীনিকেতন ৭.৪, ব্যারাকপুর ৮.১, দমদম ১১.২ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে।
চলতি শীতের মরসুমে সকলকে শীত শুরুতেই চমকে দিয়েছিল। পৌষের শুরুতেই কনকনে ঠান্ডায় কাবু ছিল কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। কিন্তু সেই শীতের অনুভূতি নতুন বছরের শুরুতেই উধাও হয়ে যায়। এমনকি পৌষ সংক্রান্তি পর্যন্ত যে ঠান্ডাটা বজায় থাকে তাও ছিলনা। তারপরও ঠান্ডার অনুভূতি কমছিল।
গত সপ্তাহে অনেকে দুপুরে রাস্তায় বার হয়ে ঘেমেওছেন। এই অবস্থায় এবছর আর শীত পড়বে না বলেই ধরে নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু শেষ বেলায় ফের চমক দিল শীত। এখন দেখার এই পরিস্থিতি কটা দিন বজায় থাকে।