শীতের পরশ বিদায় নিয়ে বসন্তের প্রথম দিন থেকেই আকাশে বাতাসে বসন্ত বসন্ত গন্ধ। ঝলমলে আকাশে রোদের তেজ কিছুটা বেড়েও গিয়েছিল। তবে ভোরের দিকে ঠান্ডা ভাবটা থেকেই গিয়েছিল। এককথায় মনোরম পরিবেশ। শনিবার সকালে কিন্তু ঘুম ভাঙল এক অন্য সকাল দেখে। আকাশে রোদের দেখা নেই। মেঘে ঢাকা ভোরে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়ায় ঠান্ডাভাব যথেষ্ট। ফলে গায়ে ভালোরকম গরম পোশাক না থাকলে এই হাওয়া সহ্য করা বেশিক্ষণ মুশকিল। তারমধ্যে আবার টিপটিপ করে বৃষ্টিও হয়েছে কোথাও কোথাও। বৃষ্টি হয়েছে রাতেও। এমন এক বদলে যাওয়া পরিবেশ শহরকে সকাল থেকেই কেমন যেন যবুথবু করে ছেড়েছে।
খনার বচন ছিল যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পুণ্য দেশ। সারমর্ম হল মাঘের শেষে বৃষ্টি ফসলের পক্ষে ভাল। আর ভাল ফসল হলে তা দেশের রাজার পক্ষে, রাজ্যের পক্ষে ভাল। এদিন হয়তো সেই বৃষ্টিটার দিকেই চেয়ে কৃষিজীবী মানুষজন। মাঘের শেষে না হলেও শনিবার ৩ ফাল্গুন। একে মাঘের শেষ বলে ধরে নিতে খুব অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শনিবার হওয়ায় অবশ্য অনেকের ছুটি। ফলে শীতের প্রাত্যহিক রৌদ্রজ্জ্বল দিনের অভ্যাসের তাল কেটে মেঘলা দিন কিন্তু তাঁদের খুব অসুখী করেনি। বরং বেশ একটা আলসে দিনের ইঙ্গিতই দিয়েছে এদিনের সকাল।
পূর্বাভাস অবশ্য ছিলই। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে শুক্রবার থেকেই আকাশ তার ভোল বদলাবে। মেঘে ছাইবে চারধার। শুক্রবার শহরের আকাশ মেঘে মুখ না লুকলেও শনিবার ভোর থেকেই মিলে গেছে সেই পূর্বাভাস। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। এদিকে এদিনের মেঘলা পরিবেশ ফাল্গুনের গন্ধ মুছে শহরের কেমন যেন ভেজা গন্ধে ভরেছে।