ছোট বেলা থেকে বাংলার ঋতু পরিবর্তনের যে হিসাব বঙ্গবাসী জেনে এসেছেন তা অনুযায়ী সোমবার থেকে শুরু হল বর্ষাকাল। গ্রীষ্মের বিদায় বর্ষার শুরু। এটাই আষাঢ়স্য প্রথম দিবস বলে ব্যাখ্যা হয়। অর্থাৎ আষাঢ় মাসের প্রথম দিন। এদিনটায় এক পশলা হলেও বৃষ্টি হবে। এটাই প্রচলিত ধারণা। গত সপ্তাহ জুড়ে প্রাণান্তকর গরমের পর এদিন সকালে ঘুম ভেঙে কলকাতার মানুষ দেখেছেন আকাশ ভরা মেঘ। রোদের দেখা নেই।
আকাশে মেঘ ভরে থাকায় সকালের দিকে গরমটাও অন্যান্য দিনের মত ভয়ংকর চেহারা নেয়নি। আবহাওয়া ছিল মন্দের ভাল। গরম ছিল বটে, তবে অন্যান্য দিনের মত নয়। ওই আকাশ দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে তবে বোধহয় কিছুটা বৃষ্টি মিলবে। কিন্তু দুপুরে আকাশে মেঘ থাকলেও তার ফাঁক গলে ফের গা জ্বালানো রোদ ছড়িয়ে পড়ে। রোদের তেজে গরমও তার তেজ বাড়ায়। ফলে ফের শুরু হয় প্রাণান্তকর পরিস্থিতি।
সোমবার সকালের দিকে অতটা ঘাম না হলেও আর্দ্রতা ও গরমের জেরে বেলার থেকে ঘাম ঝরেছে মানুষের। কষ্টও বেড়েছে। রাস্তায় টানা থাকা মুশকিল হয়েছে। কবে বদলাবে এই পরিস্থিতি? কবে বাংলায় ঢুকে পড়বে বর্ষা? এ প্রশ্ন এখন মুখে মুখে ঘুরছে। তবে এর নির্দিষ্ট উত্তর আবহাওয়া দফতরের কাছেও নেই। তাঁরা নজর রাখছেন আবহাওয়া ও মৌসুমি বায়ুর গতিপ্রকৃতির ওপর। এবার কেরালায় বর্ষা প্রবেশ করেছে দেরিতে। ফলে এ রাজ্যেও বর্ষা ঢুকতে যে দেরি হবে তা পরিস্কার ছিল। কিন্তু তা কবে তা এখনও অজানা।