গত জুন মাসকে বলা হচ্ছে বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে গরম জুন। এত গরম জুন মাসে বিশ্বজুড়ে পড়েনি। যার আঁচ যে ইউরোপে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত জুন মাসের শেষ থেকে জুলাইয়ের প্রথমের মধ্যে ফ্রান্সের ভোয়াকুস এলাকায় পারদ ৪৪.৩ ডিগ্রিতে গিয়ে ঠেকেছিল। সেটাও ছিল রেকর্ড। গরমে আমেরিকা তো পুড়ছেই। সেইসঙ্গে ইউরোপের দেশগুলিও রেহাই পাচ্ছেনা। অনেকেই মনে করেন গরমে ইউরোপের শহরে ঘুরে এলে হয়। অনেকেরই ধারণা ইউরোপ মানেই ঠান্ডার স্পর্শ। কিন্তু সেই ইউরোপের দেশ ফ্রান্সের রাজধানী শহর বৃহস্পতিবারই ৪১ ডিগ্রি পার করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। প্যারিসে এর আগে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছিল ১৯৪৭ সালে। সেবার প্যারিসের তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০.৪ ডিগ্রিতে।
গত জুনে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গরম সহ্য করেছে পোল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, অস্ট্রিয়া, লুক্সেমবুর্গ। এদিকে আগামী ১ সপ্তাহে ইউরোপ জুড়ে যে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতর দিয়েছে তা ইউরোপের যাবতীয় গরমের রেকর্ড ভেঙে দিতে চলেছে। ইউরোপের সিংহভাগ জুড়ে তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। একেই দমবন্ধ করা, ঝলসে দেওয়া গরমে পুড়ছেন ইউরোপবাসী। তারমধ্যে এমন এক পূর্বাভাসে তাঁদের আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
খোদ ফ্রান্সেই জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। যা দ্বিতীয়স্তরের সতর্কতা হিসাবে পরিচিত। স্পেন ও পর্তুগালে এমন রেকর্ড গরম থেকে দাবানলের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। নেদারল্যান্ডস সরকার ‘জাতীয় উষ্ণতা পরিকল্পনা’ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনকেই এই অবস্থার জন্য দায়ী করা হয়েছে। যেভাবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং থাবা বসিয়েছে তাতে অবস্থা ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে।
ভারতেও এবার কম বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কয়েক জায়গায় অতি বৃষ্টি হলেও ভারতের একটা বড় অংশই এবার বৃষ্টি পাচ্ছেনা। জুলাই মাস মানে ভরা বর্ষার মরসুম। কিন্তু এখনও সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। এভাবে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন কিন্তু আদপে মানব জাতির জন্য এক অশনি সংকেত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা