রাজ্যে বর্ষার শেষ লগ্নে এসে হঠাৎ শক্তি ফিরে পেয়েছে মৌসুমি বায়ু। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজ্য জুড়েই বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও বেশি, কোথাও কম। কলকাতায় প্রতিদিনই দুপুরের দিকে কালো মেঘ করছে। বৃষ্টিও হচ্ছে ২-১ পশলা। বর্ষায় এবার বৃষ্টি কম হয়েছে রাজ্যে। কলকাতায় তো কম হয়েইছে। এই অবস্থায় হয়তো বর্ষা হলেই ভাল। কিন্তু পুজোর মুখে এমন বর্ষাকে মেনে নিতে পারছেন না কেউই। এতদিন না হয়ে এই এখনই হতে হবে। বছরে তো দুর্গাপুজো এই কটাদিন। এই দিনগুলোও ভেজাতে হবে। মাটি করতে হবে সব আনন্দ! কিন্তু বাস্তব হল বৃষ্টি হচ্ছে। মহালয়াতেও বৃষ্টি কিন্তু পিছু ছাড়ল না।
পূর্বাভাস একটা ছিলই। আবহবিদরা হলফ করে বলতে পারেননি মহালয়ায় বৃষ্টি হবেনা। বরং তাঁদের পূর্বাভাস ছিল একটু বৃষ্টি হতেই পারে। হলও তাই। মিলে গেল পূর্বাভাস। শনিবার দুপুরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল শহর ও শহরতলিতে। সকাল থেকে মেঘলা আকাশ ছিলই। দুপুরে সেই মেঘলা আকাশ ছেয়ে যায় কালো মেঘে। সেই মেঘ থেকে নামে প্রবল বৃষ্টি। মহালয়ার দুপুর কার্যত ভিজে একসা হল এদিন।
মহালয়ার আগের দিনই মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন হয়েছে। এখন উদ্বোধন চলতেই থাকবে। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েই গেছে। মহালয়া মানেই তো প্রায় পুজো শুরু। হয়তো প্যান্ডেলে প্রতিমার পুজো শুরু হয়না। কিন্তু মনে মনে বাঙালির দুর্গাপুজো মহালয়া পার করলেই শুরু হয়ে যায়। মনটা উৎসবের আবহে মেতে ওঠে। আর ঠিক সেই সময়ই নিয়মিত বৃষ্টি আমজনতার কপালের ভাঁজ পুরু করেছে।
তবে কী পুজো ভাসবে? এ প্রশ্ন কিন্তু ইতিমধ্যেই উঁকি মারতে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের কোনও রিপোর্ট কেউ জানতে ছাড়ছেন না। হাওয়া অফিস কী বলছে? বৃষ্টি হবে পুজোয়? আবহবিদেরা কিন্তু পুজোয় বৃষ্টি হবেনা এমন কথা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। বরং বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যা এদিকে এসে বৃষ্টি ঝরানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আর তা যদি সত্যি হয় তাহলে পুজোয় বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই।