ষষ্ঠীতে ঝলমলে আকাশে মানুষ চুটিয়ে উপভোগ করেছেন দুর্গাপুজো। খুব স্বাভাবিক যে সপ্তমীর জন্য প্ল্যানটা আরও বেশি কিছু হবে। পুজো তখন মধ্যগগনে। কিন্তু সকালের সোনা রোদ কেড়ে নিয়ে আচমকাই আকাশ কালো করে আসে। মেঘে ছেয়ে যায় চারধার। শহরে নামে বৃষ্টি। ততক্ষণে অনেকেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে নবপত্রিকা স্নানের পর সপ্তমী পুজো শুরু হয়ে গেছে। এমন এক আবহকে মাটি করে ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে। যদিও সে বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তবু যা বৃষ্টি হয়েছে তাতেই পুজোর মেজাজে একটা ধাক্কা পড়ে।
সকালের বৃষ্টির পর মেঘ কেটে কিন্তু রোদ ওঠে। বেশ কড়া রোদ সকালের বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া প্যান্ডেল থেকে রাস্তা শুকিয়ে দেয়। সকলেই মনে করেন যাক সকালে অল্প বৃষ্টির ওপর ফাঁড়া কাটল। পুরো দিনটা পুজোর আনন্দ উপভোগে কোনও সমস্যা হবেনা। কিন্তু সেই আশা মুছে দুপুরে ফের আকাশ মেঘে ছেয়ে যায়। সঙ্গে শুরু হয় মেঘের গুড়গুড়। ততক্ষণে শহরের অনেক প্যান্ডেলেই ভিড় উপচে পড়ছে। বাসে বাসে ভিড়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঠাকুর দেখতে বার হওয়া মানুষের জটলা।
আবহাওয়া দফতর আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল যে পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তা কিন্তু মিলে গেল সপ্তমীতেই। অতি সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাব তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে পশ্চিম ভারত থেকে শুরু করে পূর্ব পর্যন্ত। তার একটা প্রভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে বৃষ্টিমুক্ত পুজো আর হল না। যদিও আবহবিদরা জানিয়েছেন বৃষ্টি একটানা হবে না। মাঝে মাঝে হবে। ফলে একদম ঝলমলে শরতের আকাশে ঠাকুর দর্শন বোধহয় এবার পুজোয় হল না। বরং ঠাকুর দেখতে বার হলে সঙ্গে ছাতা রাখা ভাল।