২০৫০ সালের মধ্যে বিধ্বংসী বন্যার কবলে পড়তে চলেছে শহর
যেভাবে দিনের পর দিন উষ্ণায়নের জন্য সমুদ্রে জলস্ফীতি হচ্ছে, তাতে এমন আশঙ্কা প্রবল বলে সতর্ক করেছে একটি গবেষণা। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে শহরে।
খোদ কলকাতার কপালে নাচছে মারণ বন্যার আশঙ্কা। শুধু কলকাতা বলেই নয়, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী বিশাল এলাকাকে এমন ভয়ংকর বন্যা গ্রাস করবে যে তা ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করবে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হবেন। বন্যার কবলে পড়বেন। এমনই আশঙ্কার কথা জানাল নিউ জার্সি-র একটি গবেষণা।
যেভাবে দিনের পর দিন উষ্ণায়নের জন্য সমুদ্রে জলস্ফীতি হচ্ছে, তাতে এমন আশঙ্কা প্রবল বলে সতর্ক করেছে গবেষণাটি। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে কলকাতায়।
ক্রমশ বেড়েই চলেছে সমুদ্রের জলস্তর। মেরু এলাকার বরফ গলে ক্রমশ সেই জল মিশছে সমুদ্রে। উষ্ণায়নের থাবায় ইতিমধ্যেই জলস্ফীতি যথেষ্ট হয়েছে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, ২০৫০ সালের মধ্যেই জলস্ফীতি এমন জায়গায় পৌঁছবে বঙ্গোপসাগরে যে তা এখনই কল্পনা করাও মুশকিল। হয়তো যা ভাবা হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর চেহারা নেবে সমুদ্রের জলস্ফীতি। সেই জল বন্যার আকারে গ্রাস করবে বহু এলাকা।
এখন যাঁরা জীবিত তাঁদের অনেকেই হয়তো কলকাতায় আছড়ে পড়া সেই বন্যা প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। ২৮ বছর পর্যন্ত সর্বোচ্চ সময়। তার আগে যে কোনও সময়ে আছড়ে পড়তে পারে এই দানব বন্যা।
উষ্ণায়নের জেরে সমুদ্রে যে জলস্ফীতি হচ্ছে তার জেরে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হতে চলেছে এশিয়ার উপকূলীয় এলাকা বলে সতর্ক করেছেন গবেষকেরা। ভারত, বাংলাদেশ, চিন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হওয়ার এলাকায় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা