বঙ্গোপসাগর ও উত্তর আন্দামান সাগরের ওপর তৈরি হচ্ছে একটি শক্তিশালী সাইক্লোন। ঘূর্ণিঝড়টি এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। গভীর নিম্নচাপ থেকে তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। তারপরের ২৪ ঘণ্টায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। তারপর এগোতে শুরু করবে স্থলভাগের দিকে। কিন্তু কোন দিকে? প্রথমে বলা ছিল সেটি হয়তো ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে। কিন্তু এখন আবহবিদরা মনে করছেন ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দিকে হতে পারে। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই ওড়িশাতেও কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে এগোনো শুরু করলেই বোঝা যাবে সেটি কোন দিকে যেতে পারে। তার গতিপথ ঠিক কেমন হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগর উত্তাল হতে শুরু করেছে। তাই মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ওড়িশা সরকারও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে কৃষকদের পাকা ফসল কেটে ফেলতে পরামর্শ দিয়েছে। যাতে আগামী ৮ নভেম্বর থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হলে ফসলের ক্ষতি না হয়।
পশ্চিমবঙ্গেও কড়া নজরদারি রয়েছে। ক্রমশ আকাশ কিন্তু মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে। এখনও রাজ্যের উপকূল থেকে বহু দূরে রয়েছে তৈরি হতে থাকা ঘূর্ণিঝড়টি। কিন্তু তার জেরে বুধবার থেকেই ক্রমশ আকাশে মেঘের সঞ্চার শুরু হয়েছে। কলকাতাতেও এদিন দুপুরের পর মেঘ ছেয়েছে। যদি এদিকেই শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি মুখ ঘোরায় তবে সপ্তাহান্তে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা