হেমন্তের পরশে মাখা থাকে শীতের আগমনী। ভোর বা রাতের দিকে বেশ একটা ঠান্ডা আমেজ। বেলা বাড়লে আবার কড়া রোদ। বিকেল পড়তে শুরু করলেই ফের বদলাতে থাকে আবহাওয়া। সন্ধে নামে তাড়াতাড়ি। বিকেল ৫টা প্রায় সন্ধে ৫টার চেহারা নেয়। ক্রমশ এমনই একটা পরিবেশের মৌতাত শুরু হয়েছিল, কিন্তু তাতে বাধ সাধল বুলবুল। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে হেমন্তের মৌতাত বদলে কার্তিকের শেষে এসে বর্ষার অনুভূতি পেয়ে বসে। চারিদিক স্যাঁতস্যাঁতে। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই এমন একটা পরিবেশ গ্রাস করে দক্ষিণবঙ্গকে।
বুলবুল অবশ্য এখন অতীত। মেঘ সরে গেছে। রবিবার যদিও বা আকাশে মেঘের সঞ্চার চোখে পড়েছিল তো সোমবার থেকে ঝলমলে রোদ উঠেছে। ফের ফিরে আসছে হেমন্তের আমেজ। কিন্তু শীত? বুলবুলের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার পর কী তবে এবার দ্রুত আসবে শীতের হিমেল হাওয়া? আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে ক্রমে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে ঠিকই। কিন্তু শীতের আমেজ যাকে বলে তা পেতে এখনও দেরি রয়েছে। সেই আমেজ আসতে এখনও এক মাসের অপেক্ষা।
শীতের আমেজ ঠিকঠাক জেঁকে বসতে ১ মাসের অপেক্ষা থাকতেই পারে। কিন্তু এখন থেকেই মধ্যরাত থেকে পাখা বন্ধ করতে হচ্ছে অনেককে। অথবা গায়ে টেনে নিতে হচ্ছে চাদরের উষ্ণতা। হেমন্তের গন্ধ বয়ে বেড়াচ্ছে আকাশে। মেঘ কেটে ঝলমলে রোদ মানে কিন্তু উত্তুরে হাওয়ারও পথ পরিস্কার। মেঘ নেই। কোনও নিম্নচাপ নেই। ঘূর্ণিঝড় বিদায় নিয়েছে। ফলে উত্তুরে হাওয়ার রাস্তা পরিস্কার। আর উত্তুরে হাওয়ার আগমন যত দ্রুত হবে ততই শীত দ্রুত পড়বে। আর তার জেরেই এই সপ্তাহের শেষে ২০ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। অবশ্য কলকাতায় শীতের পরশ লাগে দেরিতে। তার আগে অন্যান্য জেলায় কালীপুজোর পর থেকেই বেশ ঠান্ডা অনুভূতি পেয়ে বসে। তবে দুপুরটা কিন্তু চড়া গরম থেকে হেমন্তে রেহাই পাওয়া যায় না।