খাতায় কলমে যাকে বলে শীত। তা আসতে এখনও বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু হেমন্তে শীতের পরশটুকু মিলবে আর কদিনের মধ্যেই। হাওয়া অফিস মনে করছে এই সপ্তাহের শেষেই শীতের অনুভূতিটুকু গায়ে মাখার সুযোগ পাবেন সকলে। পারদ নামবে এই সপ্তাহেই। এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরা ফেরা করছে ২০-২১-এ। সেটাই নেমে যাবে ১৭-১৮-তে বলে আশা করছেন আবহবিদেরা। কলকাতার বাইরে এই পারদ নামাটা আরও বেশি হতে পারে।
কার্তিক মাস শেষ। অগ্রহায়ণ শুরু হয়ে গেছে। অর্থাৎ হেমন্তের অর্ধেকটাই গত। আর অগ্রহায়ণ মানেই যেমন নতুন ধান, নবান্ন। তেমনই অগ্রহায়ণ মানেই শীতের দরজায় কড়া নাড়া। ত্বকে শুষ্ক টান। হাওয়ায় বদল। সকাল বা রাতে ঠান্ডা ক্রমশ আঁকড়ে ধরা। পাতলা চাদরের ওমে শরীরটাকে ঢেকে নেওয়া। যাঁরা ভোরে ওঠেন, প্রাতঃভ্রমণ করেন। তাঁরা জানেন সকালের দিকে পাতলা কুয়াশা ইতিমধ্যেই গ্রাস করেছে শহর কলকাতাকে।
ভোরের রোদটাও যেন অনেকটা বদলে গেছে। ভোর যেমন হচ্ছে দেরিতে, তেমনই রোদ উঠলেও তার পাতলা পরশ গায়ে মাখতে মন্দ লাগছে না। তবে শীতে যেমন ঠান্ডার অনুভূতিটা দিনভর থেকে যায়, এখন সময়টা তেমনটা নয়। এখন বেলা বাড়লেই গরম বাড়ছে। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাকটাই সেকথা আরও পরিস্কার করে দিচ্ছে। এটাই কমতে কমতে শীত আসবে। তবে তার আগে অগ্রহায়ণের এই শীত শীত ভাব বাড়তে থাকাটা, অন্য আনন্দের পরশ মাখিয়ে যায়।