অগ্রহায়ণে পা দিয়ে দিয়েছে ক্যালেন্ডার। এখন যাকে বলে ভরা হেমন্ত। গুটি গুটি পায়ে শীতের দিকে এগিয়ে চলা। আর সেই এগিয়ে চলার সঙ্গী ক্রমশ নামতে থাকা তাপমাত্রা। বাতাসে শীতল পরশ। চড়তে থাকা উত্তুরে হাওয়া। কাশ্মীর, হিমাচল জুড়ে তুষারপাত চলছে জমিয়ে। এই মুহুর্তে নেই কোনও নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। ফলে যাকে বলে লাইন একদম পরিস্কার। তাই শীত খাতায় কলমে না পড়লেও শীতল পরশ যে ক্রমশ বাড়বে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। আর তা মিলেও গেল।
বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ নেমেছে প্রায় ২ ডিগ্রি। দাঁড়িয়েছে ১৮.১ ডিগ্রিতে। এক ধাক্কায় পারদ ২ ডিগ্রি কমে গেলে তা শরীর স্পর্শ করতে বাধ্য। করেছেও তাই। মঙ্গলবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডার অনুভূতি বেড়েছে। ভোরে বেশ একটা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব ছিল। বাতাসে ছিল কুয়াশার আলতো প্রলেপ। একটু দূরের কিছু একটা আলগা কুয়াশার পিছনে দেখা যাচ্ছিল। সকালের রোদে ছিল মিঠে ভাব।
কলকাতায় পারদ ১৮.১ ডিগ্রিতে নেমে যেমন মানুষের মন ভরিয়েছে, তেমনই জেলাগুলিতে পারদ আরও একটু নেমেছে। অনেক জেলায় পারদ ১৫ ডিগ্রিতে নেমে গেছে। যেখানে বেশ একটা শীতের পরশ লেগেছে। অনেকেই গায়ে শাল জড়িয়ে, সোয়েটার জড়িয়ে ঘুরছেন। এটা অবশ্য প্রতি বছরের দৃশ্য। কলকাতায় সে শীত পড়েনা, যা জেলাগুলিতে পড়ে। ফলে সেখানে লেপ, কম্বল, সোয়েটার, শাল অনেক আগেই বার হয়। এবারও তাই হয়েছে।