একদম কপিবুক শীত এল শহরে। কারণ ছোটবেলা থেকেই বইয়ের পাতায় সকলে পড়েছেন পৌষ-মাঘ শীতকাল। সেই পৌষ মাসের বুধবার ছিল পয়লা। প্রথম দিন। আর পৌষের প্রথম দিনেই শহরে শীত এসে পড়ল। যেন অগ্রহায়ণ থাকায় ঢোকার ইচ্ছা থাকলেও নিয়মে আটকাচ্ছিল। পৌষ পড়তেই খাতায় কলমে শীতকাল এসে গেল। তাই আর শীতের আগমনেও বাধা রইল না! হয়েছেও কিন্তু তাই। গোটা অগ্রহায়ণ মাসটা জুড়ে শীতের দেখা মেলেনি। স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি তো বেশি সবসময় পারদ ঘুরে বেড়িয়েছে। ফেল শহরবাসী কার্যত হাল ছেড়েই দিয়েছিলেন। শীত বোধহয় এবার আর তেমন পড়ল না। এমনই মনে করে নিয়েছিলেন সকলে। তাঁদের সকলকে ভুল প্রমাণ করে পয়লা পৌষেই শহরের শীতের পরশ স্পষ্ট হল। আরও বেশি করে এদিন শীতের পরশ বোঝা যাচ্ছে এক ধাক্কায় পারদ ৩ ডিগ্রির বেশি পড়ে যাওয়ায়। তাও মাত্র ১ দিনে।
মঙ্গলবার থেকেই আস্তে আস্তে বাড়ছিল ঠান্ডা হাওয়ার দাপট। উত্তরের জানালা খোলা দায় হচ্ছিল। শোনা যাচ্ছিল শীতের পদধ্বনি। তবু মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি। যা বুধবার এক ধাক্কায় নেমে হল ১৫.৪ ডিগ্রি। অর্থাৎ মাত্র ১ দিনের ফারাকে পারদ নেমে গেল ৩.২ ডিগ্রি। কম কথা নয়। ফলে শরীরে ঠান্ডার পরশ একটু জোরেই ধাক্কা দিয়েছে। এদিন অনেকেই শীতের পোশাক গায়ে চড়িয়ে ফেলেছেন।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছিল প্রবল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট কাশ্মীর, হিমাচলের ওপর থাকায় দক্ষিণবঙ্গে শীতের দেখা মিলছিল না। কিন্তু সেই ঝঞ্ঝা কেটে গিয়েছে। হিমাচল, কাশ্মীর এখন সাদা বরফে ঢাকা। আর তার ওপর দিয়ে বয়ে আসছে বাতাস। শীতল বাতাস। বরফের ওপর দিয়ে বয়ে আসায় তা আরও ঠান্ডা হয়েছে। যার জেরে রাজ্যে শীত ঢুকে পড়েছে। এবার তা ক্রমশ নিম্নমুখী হবে। শহরবাসীর শীতের জন্য হাহাকার এবার পুষিয়ে দেবে সামনের কদিন বলেই মনে করা হচ্ছে।