ঠান্ডা পড়ছিল না, পড়ছিলনা। পড়ল তো একেবারে লাফ দিয়ে দিয়ে নামছে পারদ। গত মঙ্গলবার যেখানে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেখানে গত বুধবার তা এক ধাক্কায় নেমে দাঁড়ায় ১৫.৪ ডিগ্রিতে। একদিনের মধ্যে এতটা পারদ পতনে যাঁরা চমকে গিয়েছিলেন তাঁদের চমক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বৃহস্পতিবারের পারদ পতন। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৭ ডিগ্রি। বুধবারের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৩ ডিগ্রির ওপর কমেছে তাপমাত্রা।
মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে কলকাতার তাপমাত্রা নেমে গেল ৭ ডিগ্রি! ফলে ঠান্ডা জাঁকিয়ে অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়েছে। আবহাওয়া দফতর বলছে বৃহস্পতিবার স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি কম তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে যে এই ঠান্ডা কিন্তু এখন বেশ কিছুদিন বজায় থাকবে। ফলে পারদ আরও নামলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
শহরের মানুষ এবার আর ঠান্ডা পড়ল না ধরে নিয়ে হা পিত্যেশ করছিলেন ২ দিন আগেও। আর মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে শহরবাসী এখন গা থেকে গরম পোশাক ছাড়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এমনকি ভর দুপুরে কড়া সূর্যের আলোতেও নয়। ঠান্ডা লাগছে যে! এরমধ্যেই ঝড়ের গতিতে আলমারিতে তুলে রাখা লেপ, কম্বল, শাল, সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপি, মাফলার সব বেরিয়ে পড়েছে। দুপুরে রোদ খাইয়ে নিয়েছেন অনেকেই। এতদিন আলমারিতে রাখা। তাই একটু রোদ খাইয়ে তৈরি রাখা দরকার। বিকেল নামলেই তার তলায় ঢুকে পড়তে হবে যে!
কলকাতা বলেই নয়, গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই প্রবল ঠান্ডা গ্রাস করেছে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তো ঠান্ডা আরও বেশি। কলকাতার বাইরে পারদ কমপক্ষে ২ ডিগ্রি পড়েই যাচ্ছে। আচমকা ঠান্ডা পড়ায় ঠান্ডার অনুভূতিও বেশ কড়া। সব মিলিয়ে পৌষে পা দিতেই ঠান্ডা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। এখন দেখার কতদিন এই ঠান্ডা বজায় থাকে।