বুধ ও বৃহস্পতিবার যতটা পারদ পতন হয়েছিল। তুলনায় শুক্রবার কিন্তু পারদ থমকে গেল। তবে খাতায় কলমে অতি সামান্য পতন হয়েছে বৈকি! গত বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৭ ডিগ্রি। আর শুক্রবার তা হল ১১.৬ ডিগ্রি। তবে এই পতন খাতায় কলমেই হয়। এর বাস্তব অনুভূতি নেই। ফলে এদিনও একই ঠান্ডা বজায় রয়েছে। কলকাতা বেশ কনকন করছে। সঙ্গে উত্তর থেকে ঠান্ডা হাওয়া বইছে হুহু করে। ফলে পারদ সপ্তাহান্তে আরও পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে থমকে থাকা ঠান্ডা তার নিজস্ব মেজাজ দেখাতে শুরু করেছে মাত্র ২ দিন হল। আর তাতেই কলকাতা একাধারে বেজায় খুশি। সেইসঙ্গে কাঁপছেও খুব। হট করে ঠান্ডা গা সওয়া হতে সময় লাগবে। ফলে এখন যেন ঠান্ডাটা একটু বেশি করেই লাগছে। আর সেই ঠান্ডা গায়ে মেখে শহর জুড়ে ভরপুর কর্মময় দিনগুলোতেও যেন একটা কেমন শীতের আলস্য আর বেড়াই বেড়াই ভাব। একটু রোদ পোহানো। একটু এদিক ওদিক যাওয়া। একটু রোদ গায়ে মেখে শরীরটাকে তাতিয়ে নেওয়া। একটু ভালমন্দে রসনা তৃপ্তি।
সামনেই সপ্তাহান্তের ছুটি। ফলে দেদার সুযোগ। গত সপ্তাহ পর্যন্তও ঠান্ডার কানাকড়ি দেখা মেলেনি। ফলে কেউ রবিবারে বেড়ানোর জন্য হৈহৈ করে বার হয়ে পড়েননি। কিন্তু এই শনি বা রবিবার কলকাতার দ্রষ্টব্য বা বিনোদনের স্থানগুলোতে ভিড় জমতে চলেছে। চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, ময়দান, ইকো পার্ক, নিক্কো পার্ক, দক্ষিণেশ্বর বা অন্য কোথাও। আর বোধহয় ঘরে থাকা নয়। কটা দিনের তো শীত। এই কটা দিন বাড়িতে বসিয়ে কাটাতে মোটেও রাজি নয় বাঙালি। ফলে কাজের ফাঁকেই এই ২-৩ দিনের সব পরিকল্পনা তৈরি। এখন শুধু বেরিয়ে পড়ার অপেক্ষা।