বড়দিনের রেশ এখনও তাজা। বছর শেষ লগ্নে। ফলে আকাশে বাতাসে ছুটির হাওয়া। নতুন বছর পড়ার আগে এই কটাদিন চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করে নিতে চাইছেন মানুষজন। বাহারি গরম পোশাকে শরীর মুড়ে এই একটা সপ্তাহ খুশির, আনন্দের। সেই ছুটির আনন্দে বৃহস্পতিবার কার্যত জল ঢালল অকাল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকালে ছিল সূর্যগ্রহণ। কলকাতার মানুষ মেঘ, রোদের লুকোচুরিতে কোনওক্রমে কিছুটা গ্রহণ দেখার সুযোগ পেলেও দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলারই তা শিকেয় ছেঁড়েনি। সকাল থেকেই সেখানে বৃষ্টি নেমেছে।
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে আসানসোলে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে ভালই। গরম পোশাকে আষ্টেপৃষ্ঠে শরীর মুড়ে মাথায় ছাতা নিয়ে বার হতে হয়েছে মানুষকে। কলকাতায় দুপুর থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘন মেঘ করে বৃষ্টি নামে। ঝেঁপে বৃষ্টি যাকে বলে তা না হলেও বৃষ্টি খুব কমও হয়নি। ঝির ঝির করে কোথাও একটু বেশি তো কোথাও একটু কম। তবে বৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র। তার সঙ্গে জোলো ঠান্ডা হাওয়ার দাপট ছিল।
পার্ক স্ট্রিটে বৃহস্পতিবারও ভিড় জমেছিল। কিন্তু বৃষ্টি অনেকটাই মাটি করেছে মানুষের উৎসাহ। টিপটিপ, ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে অনেকে আবার বার হওয়ার সব রকম পরিকল্পনা করেও পিছিয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার ছাতা নিয়েই বেরিয়েছেন। দিনগুলো তো আর ফিরে আসবে না। বছর শেষের ছুটিটাও ফেরত পাওয়া যাবেনা। তাই একটু কষ্ট করেই বেরিয়ে পড়া। তবে এদিন রাস্তায় ঘোরাঘুরির চেয়ে রেস্তোরাঁয় ভিড় জমেছে বেশি। রসনা তৃপ্তির মধ্যে দিয়েই আনন্দটা উপভোগের রাস্তা খুঁজেছেন সকলে। এদিন অবশ্য সাধারণ কাজের দিনও ছিল। ফলে কাজে বেরিয়েও অনেকে বৃষ্টির জন্য সমস্যার শিকার হন।