বৃষ্টি থামলে যে ঠান্ডা বাড়বে তা আগেই পরিস্কার করেছিল আবহাওয়া দফতর। এটাও জানিয়ে দিয়েছিল যে বছরের শেষটা উপভোগ্য ঠান্ডা থেকে বঞ্চিত হবেন না শহরবাসী। বড়দিনের অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়া থাকার দুঃখ সুদে আসলে ভুলিয়ে দেবে বছর শেষ। বছর শেষ হতে এখনও সামান্য দেরি। তার আগেই কিন্তু বৃষ্টি থামার শেষে পারদ পতন শুরু। ফলে হাওয়া অফিস যে ভুল ছিলনা তা পরিস্কার। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৩ ডিগ্রি। শনিবার তা নেমে ১১-র আশপাশে থাকার কথা। অন্যদিকে জেলায় জেলায় কিন্তু ঠান্ডা কামড় বসিয়েছে। দ্রুত পড়ছে পারদ। জাঁকিয়ে ঠান্ডার ইঙ্গিত সেখানেও স্পষ্ট। সেইসঙ্গে পুরু কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকেছে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ।
বছর শেষের আনন্দে কিছুটা হলেও বাধ সেধেছে বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি। শুক্রবার রোদের দেখা মিললেও মেঘের আনাগোনা বজায় ছিল। ফলে শুক্রবারও দিনভর মেঘের দাপট ছিল যথেষ্ট। তবে বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি যা হওয়ার প্রায় সবটাই হয়েছে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভোর অবধি। ঘূর্ণাবর্ত ও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জোড়া দাপটে ভরা পৌষে অকাল বৃষ্টি বৃহস্পতিবার পুরোটাই নষ্ট করেছে। শুক্রবারে মোটামুটি সপ্তাহান্ত শুরু। বছরের শেষ উইকএন্ড। সেই শুক্রবারে কিন্তু মানুষ বেরিয়ে পড়েন আনন্দের খোঁজে। ঠান্ডা গায়ে মেখে গরম বাহারি পোশাকে শরীর মুড়ে অনেকেই শুক্রবার বিকেল নামতেই বেরিয়ে পড়েন শহরের রাস্তায়।
বুধবার ছিল বড়দিন। তারপর বৃহস্পতিবারও পার্ক স্ট্রিট লোকে লোকারণ্য থাকার কথা ছিল। কিন্তু তা বৃষ্টির জন্য হয়নি। তাই সেই বছর শেষের দিন নষ্ট সুদে আসলে এদিন পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা নজর কেড়েছে। শুক্রবার বিকেল নামতেই পার্ক স্ট্রিট জমে ওঠে। জ্বলে ওঠে আলোর রোশনাই। মানুষের ঢল নামে এই সাহেব পাড়ায়। রাত বাড়লে ভিড় জমেছে রেস্তোরাঁগুলিতেও।