ভরা পৌষ মাসে কনকনে ঠান্ডাই কাম্য। ছিলও তাই। কিন্তু গত বছরের শেষে কাশ্মীর, হিমাচলে প্রবেশ করেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তার জেরে এ রাজ্যে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা বছরের শুরুতেই তৈরি হবে সেকথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। আর সেই পূর্বাভাস মিলিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে। যত দুপুর গড়িয়েছে, মেঘের আস্তরণ ততই পুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে উধাও ঠান্ডা। পয়লা জানুয়ারিতেও যে ঠান্ডা উপভোগ করেছেন শহরবাসী, সেই ঠান্ডা মেঘের ঠেলায় নিমেষে ভ্যানিস। ১ দিনের ব্যবধানে ৩ ডিগ্রির ওপর চড়েছে পারদ।
বুধবার বছরের প্রথম দিনে কলকাতার পারদ ছিল ১২.১ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। রোদও ছিল। ফলে বছরের প্রথম দিনের আনন্দ শীতল পরশেই উপভোগ করেছেন সকলে। কিন্তু বৃহস্পতিবারই উল্টে গেল আবহাওয়ার চরিত্র। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৩ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। ফলে শহর জুড়ে মানুষ দুপুরের দিকে সোয়েটার গায়ে রাখতে পারেননি। বাসের জানালা খুলে বসেছেন।
বৃহস্পতিবার রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। তাই এদিন অনেকেই ব্যাগে ছাতা নিয়ে নিয়েছেন। বলা যায়না কাজ থেকে ফেরার সময় যদি বৃষ্টি হয়! পূর্বাভাসও কিন্তু তেমনই। বৃহস্পতিবার সন্ধে অথবা রাতের দিকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতায় বৃষ্টি কম হলেও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি যথেষ্ট হবে বলেই পূর্বাভাস। এমনই আবহাওয়া শুক্রবারও বজায় থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস।