একদিন আগেও ছিল ১৬.৮ ডিগ্রি। আর মঙ্গলবার তা নেমে দাঁড়াল ১৩.৮ ডিগ্রিতে। ক্রমশ চড়তে থাকা পারদে বাড়তে থাকা গরমে সাধারণ মানুষ মাঘের শুরুতে বাড়িতে ফ্যানও চালিয়েছেন। এমন আবহাওয়ার পরিবর্তনে বেজায় অসন্তুষ্ট ছিলেন সকলেই। মাঘেই যদি শীত শেষ হয় তাহলে এরপর কী হবে? গরমে টিকতে পারা তো মুশকিল হবে! সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বৃদ্ধি শেষ করে দিয়েছিল শীতের আশা। কিন্তু শীত ফিরল। যেভাবে পয়লা পৌষে রাজ্যবাসী টের পেয়েছিলেন শীত পড়ল বঙ্গে। ঠিক তেমনই এক ধাক্কায় এদিন পারদ পড়ল ৩ ডিগ্রি।
এক ধাক্কায় এতটা পারদ পতনে আচমকা এদিন সকালে ধাক্কা খেয়েছেন শহরবাসী। কারণ এমন পারদ পতনের জন্য তৈরি ছিলেননা তাঁরা। বরং অনেকে গরম পোশাক গুছিয়ে আলমারিতে তোলাও শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার সন্ধের পর থেকেই তাঁরা টের পান ঠান্ডা বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালে সেই ঠান্ডার পরশ আরও বাড়ে। উত্তুরে হাওয়া যেখানে উধাও হয়েছিল, এদিন তা রীতিমত জোরে বয়েছে। উত্তর থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা হাওয়ায় বেশিক্ষণ থাকতেও পারেননি অনেকে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে সপ্তাহের মাঝামাঝি উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ঠান্ডার অনুভূতি থাকবে। প্রজাতন্ত্র দিবস বা সরস্বতী পুজোর আগে ঠান্ডা এ শহর থেকে বড় একটা বিদায় নেয় না। এবারই তার অন্যথা হচ্ছিল। যা ফের সামলে নিয়েছে প্রকৃতি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটেই বিদায় নিচ্ছিল শীত। এখন নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তার দাপট না দেখালে এই ঠান্ডা হয়তো আর কটা দিন পাবেন রাজ্যবাসী।