২৩ জানুয়ারি নেতাজি জন্মজয়ন্তীর সকালটা বাঙালির কাছে একদম অন্যরকম। নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান, সাইকেল ব়্যালি, প্রভাত ফেরি, নেতাজি সম্বন্ধিত আলোচনা, স্কুলে স্কুলে পতাকা উত্তোলন, নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান, নানা অনুষ্ঠান, রক্তদান, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, স্পোর্টস এমন হাজারো অনুষ্ঠানে ঠাসা থাকে গোটা রাজ্য। এদিনটি অনেকে পিকনিকের জন্যও বেছে নেন। কিন্তু এসবের জন্য দরকার আবহাওয়ার যোগ্য সঙ্গত। যা এদিন কিন্তু অধরাই রইল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ গোটা রাজ্য জুড়ে কুয়াশার পুরু চাদর জড়ানো রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশার দাপট উত্তরবঙ্গের চেয়ে কম। আবার দক্ষিণে বৃষ্টির দাপট বেশি। খোদ কলকাতাতেই এদিন সকালে নানা জায়গা থেকে বৃষ্টির খবর এসেছে।
কলকাতার দক্ষিণ অংশে বৃষ্টি হয়েছে তুলনামূলকভাবে বেশি। বাইপাস সহ দক্ষিণের কসবা, বালিগঞ্জ ও অন্যান্য জায়গায় কোথাও বেশি কোথাও কম বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি উত্তরে তেমন একটা না হলেও ঝিরঝির করে বৃষ্টি অনেক জায়গায় পেয়েছেন মানুষজন। সকালে রাস্তার কিছুটা দূরেও দেখা যাচ্ছিল না ঠিক করে। দৃশ্যমানতা তলানিতে ঠেকে জেলাগুলিতেও। দক্ষিণবঙ্গের ২ মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলায় কোথাও অল্প, কোথাও তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবেই এই বৃষ্টি বলে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে। বৃষ্টি কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে তেমন হবে না বলেই পূর্বাভাস। বরং বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে। বিশেষত পাহাড়ি এলাকায়।
এমন এক আবহাওয়া কতদিন বজায় থাকবে? হাওয়া অফিস বলছে শুক্রবার থেকেই বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। মেঘ কেটে যাবে। জাঁকিয়ে ঠান্ডা গ্রাস করবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই ঠান্ডা বজায় থাকবে এই সপ্তাহের শেষে। ফলে সপ্তাহের শেষে ভাল ঠান্ডার অনুভূতি পেতে চলেছেন শহরবাসী। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বেলা বাড়তে কুয়াশার চাদর কেটে যায়।