সরস্বতী পুজোর সকাল মানে ঝলমলে আকাশ। সকাল থেকেই সাজসাজ রব। স্কুল, বাড়ি, পাড়া, ক্লাব সর্বত্র পুজোর আয়োজন। পড়ুয়া মেয়েদের জীবনে এই দিনটার মাহাত্ম্যই আলাদা। অনেকেরই এদিন শাড়ি পরায় হাতেখড়ি হয়। শাড়ির ভার সামলে খোলা চুলে পুষ্পাঞ্জলি। এই দিনটায় কোন শাড়ি পড়বে তা নিয়ে এক মাস আগে থেকে আলোচনা। ছেলেদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবী-পাজামা। এখন আবার শেরওয়ানির চল হয়েছে। রংবেরংয়ের শেরওয়ানি বা পাঞ্জাবী গায়ে চড়িয়ে সকালেই স্নান সেরে বেরিয়ে পড়া। কেউ স্কুলে, কেউ কলেজে, কেউ পাড়ার পুজোয়। বাঙালি জীবনের ভ্যালেন্টাইনস ডে সরস্বতী পুজো। আড়চোখে প্রথম দেখার লাইসেন্স। এতো গেল তারুণ্যের কথা। এমনকি অনেক বয়স্ক মানুষের জীবনেও এই দিনটার একটা আলাদাই আকর্ষণ আছে। কিন্তু উৎসবের আনন্দ অনেকটাই নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। আর সেখানেই সব মাটি করল বৃষ্টি।
সারা বছরে এই তো একটা দিন সরস্বতী পুজো। বেছে বেছে এই দিনটাতেই বৃষ্টি! হতাশাটা এদিন ভোর থেকেই পেয়ে বসেছিল সকলের মনে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অবশ্য ছিল যে এদিন বৃষ্টি হতে পারে। মিলেও গেছে সেই পূর্বাভাস। পূর্বাভাস জেনেও মনের কোণায় কোথাও একটা ছোট্ট আশা ছিল যে পূর্বাভাস নাও তো মিলতে পারে। হতে পারে দিনটা ঝলমলেই থাকল। কিন্তু বাস্তবে তা হল না। বরং সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা আকাশ। ঝিরঝির করে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও বেশি তো কোথাও কম। কে বলবে যে আজ সরস্বতী পুজো! আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি হবে। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারও সরস্বতী পুজো রয়েছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব এবার দফায় দফায় হানা দিচ্ছে বঙ্গভূমিতে। ফলে এবার শীতেও বৃষ্টি কম হল না! একবার ঠান্ডা পড়ছে তো আবার মেঘে ঢাকছে আকাশ। বৃষ্টি হচ্ছে। ফের আকাশ পরিস্কার হচ্ছে। তাল মিলিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। গত মঙ্গলবার যেখানে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৯ ডিগ্রি, সেখানে বুধবার একলাফে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮.৬ ডিগ্রি। একদিনের ব্যবধানে ৫ ডিগ্রির কাছে বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ।