এবার তিথি অনুযায়ী সরস্বতী পুজো ২ দিন। তবে বেলা পর্যন্তই সময় ছিল। তাতে কী! এদিন অনেক বাড়িতেই সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই শুরু হয়ে যায় বাণী বন্দনা। পুষ্পাঞ্জলি, মন্ত্রপাঠ-এর শব্দ ভেসে আসে সকাল থেকেই। সঙ্গে কাঁসর-ঘণ্টা-শাঁখের আওয়াজ। বুধবার সারাদিনই চলেছে পুজো। তবে বৃহস্পতিবারও সরস্বতী পুজো কম হল না। আর সরস্বতী পুজোর তিথি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই যে আকাশ মেঘে ঢেকে গিয়েছিল। সেই যে মাঝেমধ্যে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, সরস্বতী পুজোর দ্বিতীয় দিনেও তার অন্যথা হল না। একই পরিবেশ বজায় রইল। একদম বর্ষার ঘনঘটা। মাঝে মাঝে বৃষ্টি। বাতাসে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। কে বলবে সময় মাঘের মধ্যিখান।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বুধবার থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের বড় অংশের মুখ ভার। ঘন মেঘে ছেয়ে আছে আকাশ। হচ্ছে বৃষ্টি। সরস্বতী পুজো ভাসাতেই যেন হানা দিল এই মেঘ-বৃষ্টি। কারণ পূর্বাভাস বলছে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকেই পরিস্কার হয়ে যাবে। উত্তরবঙ্গে অবশ্য শুক্রবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেখানে শনিবার থেকে আকাশ পরিস্কার হবে।
বৃষ্টি কিন্তু মাটি করেছে সরস্বতী পুজোর আনন্দ। বিশেষ পড়ুয়া ও তরুণ প্রজন্মের কাছে সরস্বতী পুজোর আকর্ষণ সীমাহীন। সারা বছর তাঁরা অপেক্ষা করে থাকেন এই দিনটার জন্য। বুধবার বেলা বাড়লে অবশ্য আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হয়। কিন্তু মেঘের পরত কাটেনি। মাঝে সামান্য সময়ের জন্য রোদের দেখা মেলে। বৃহস্পতিবার সে সুযোগটাও মিলল না। সকাল থেকেই পুরু মেঘে ছেয়ে থাকা আকাশেই হল পুজো। তবে কোথাও এবার মেঘ-বৃষ্টির কোপে পড়ে সরস্বতী পুজোর ১৬ আনা পূর্ণ হল না।