অগ্রহায়ণেও শীতের দেখা এবার পাওয়া যায়নি। হাপিত্যেশ করে বাঙালি অপেক্ষা করছিল কবে পড়বে শীত। সেই শীত অবশেষে বাংলায় আচমকাই হাজির হয় একদম পয়লা পৌষেই। খাতায় কলমে শীতের প্রথম দিনেই শীত হাজির হওয়াটা বেশ কাকতালীয় বোধ হয়েছিল অনেকের। তারপর থেকে কখনও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে শীতের দাপট হারিয়ে রাজ্যের আকাশ ঢেকেছে মেঘে। নেমেছে বৃষ্টি। আবার সেই বৃষ্টি কাটতেই পারদ নেমে ফের শীতের দাপট শুরু হয়েছে। এভাবেই কার্যত কেটেছে এবার শীতকাল। সাধারণত শীত কিন্তু মাঘের মাঝামাঝি থেকেই বিদায় নেয়। ক্রমশ চড়তে থাকে পারদ। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শীতের দাপট থাকেই না। বরং বসন্তের আবহাওয়া জেঁকে বসে। কিন্তু এবার তা কিন্তু হচ্ছে না। মাঘের শেষে পৌঁছেও শীতের দাপট অব্যাহত।
বুধবার কলকাতার পারদ নেমেছিল ১৩.৫ ডিগ্রিতে। এই সময়ের নিরিখে যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি কম! এখন যেখানে স্বাভাবিক হল ১৭ ডিগ্রির ওপর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করা। সেখানে পারদের এতটা পতন কিন্তু যথেষ্ট চমকপ্রদ। ফলে এখনও এই ফেব্রুয়ারির মাঝে পৌঁছেও মানুষের গা থেকে সোয়েটার, জ্যাকেট বা শাল নামেনি। গরম পোশাক পুরোদস্তুর কাজে লাগছে দিনভর। বেলায় খুলে রাখা গেলেও বিকেল হলেই ফের গায়ে চড়িয়ে নিতে হচ্ছে গরম জামা।
হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে চড়তে শুরু করবে পারদ। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই মাঘ মাসের শেষ দিন। ঋতুচক্রের নিরিখে পৌষ, মাঘ শীতকাল। তাহলে কী কপি বুক শীতই এবার বাঙালি কপালে নাচছে। অর্থাৎ পয়লা পৌষ থেকে যে শীত বঙ্গে প্রবেশ করেছিল, সেই শীত বিদায় নেবে মাঘের শেষ দিনে! এটাই এখন দেখার।