এখন অনেকেই বলে থাকেন ঋতু চক্রের আর কোনও মানে রইল না। যে মাসে যে আবহাওয়া থাকার কথা তা হয় কোথায়! এবার শীত কিন্তু তা বলছে না। শীত পড়ছে না পড়ছে না করে একটা হাহাকার ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল। কিন্তু শীত বাংলায় এসেছে ক্যালেন্ডার মেনে। পয়লা পৌষ শীত জাঁকিয়ে পড়া শুরু হয়। আবার সেই শীতই টানা ব্যাটিং করে ঠিক ২৯ মাঘ অর্থাৎ মাঘের শেষে দিনে বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দেয়। গরম বাড়তে থাকে। আকাশ বাতাস জানান দেয় বসন্ত এসে গেছে। আর বসন্তের শুরুতেই কিন্তু পারদ চড়া শুরু হয়ে গেছে।
গত সপ্তাহেও যেখানে মানুষের গায়ে সোয়েটার দেখা গেছে, সেখানে এ সপ্তাহের শুরু থেকেই গরমের সাধারণ পোশাকে রাস্তায় বেরিয়েছেন মানুষ। দুপুরের দিকে ফ্যানও ঘুরেছে অনেক বাড়িতে। গরম কিন্তু চড়ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পারদ। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি।
গভীর রাত বা ভোরের দিকে ঠান্ডার পরশ অবশ্য বজায় আছে। ফলে রাতে যে ফ্যান লাগছে এমনটা নয়। কুয়াশার দাপটও জেলায় জেলায় রয়েছে। তবে তা খুব ভোরে। কলকাতার তুলনায় জেলাগুলিতে অবশ্য এখনও সন্ধে থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডার অনুভূতিটা রয়েছে। তবে তা দ্রুত বদলাচ্ছে। আকাশ বাতাস বলছে এখন ভরা বসন্ত।