ভ্যাপসা গরম নিমেষে উধাও, ধেয়ে এল ঠান্ডা বাতাস, সঙ্গে বৃষ্টি
সোমবার সারাদিন ভ্যাপসা গরমের পর রাতেও একই অবস্থা বজায় ছিল। যা এদিন ভোরেই বদলে যায়। ধেয়ে আসে ঠান্ডা বাতাসের ঝোড়ো দাপট। সঙ্গে নামে বৃষ্টি।
কলকাতা : এক চরম অস্বস্তিকর গরমেই গত সোমবারটা কাটিয়েছেন এ রাজ্যের মানুষ। এমন একটা দমবন্ধ করা গরমে অনেকেই হাঁসফাঁস করছিলেন। সারা রাতেও সেই গরম থেকে রেহাই মেলেনি। অনেকেই রাতে পাখা চালিয়েও ঘুমোতে পারেননি। সেই চরম পরিস্থিতি কিন্তু বদলে গেল কাকভোরে। ভোরের ফিকে আলো ধরা আকাশে তখন মেঘের ঘনঘটা। ক্রমশ একটা ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করেছে। ক্রমে সেই বাতাস দমকা হাওয়ায় পরিণত হয়। ঝোড়ো ঠান্ডা বাতাস জুড়িয়ে দেয় গত একদিনের ভ্যাপসা গরমের চরম কষ্ট।
দারুণ এক ঠান্ডা বাতাসে ঘরের ভ্যাপসা গরম পরিস্থিতিটা কিছুক্ষণের মধ্যে বিদায় নেয়। তারমধ্যেই নামে বৃষ্টি। ফলে আরও ঠান্ডা হয় আকাশ, বাতাস, পরিবেশ। গত সোমবার ভ্যাপসা গরমটা চরম মাত্রায় থাকলেও মেঘে ঢাকা ছিল আকাশ। তবে তাতে বৃষ্টি ঝরেনি। সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া মাঝারি বৃষ্টি কিন্তু বেলার মধ্যেই গোটা পরিবেশ বদলে দেয়।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে এই বৃষ্টি চলবে। গোটা রাজ্যজুড়েই বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের ওপর সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবেই এই বৃষ্টি। যা বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প টানছে। ফলে পশ্চিমের জেলাগুলি বাদ দিলে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি। সেখানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তুলনায় দক্ষিণে বৃষ্টি কম হবে। তবে হবে। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
আষাঢ়, শ্রাবণে তেমন বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে হয়নি। তবে পরপর ২টি নিম্নচাপ ও এখন মৌসুমি অক্ষরেখার সক্রিয়তায় বৃষ্টি হচ্ছে। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি পৌঁছেও বর্ষার আবহাওয়াই বজায় রয়েছে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার সময় যে কম বৃষ্টিটুকু হয়েছে তা এই নিম্নচাপ ও মৌসুমি অক্ষরেখা পুষিয়ে দেবে। এখন সেই বৃষ্টিই হচ্ছে। ফলে এই বৃষ্টি ভালই করছে। কৃষি কাজের সুবিধার জন্যও এই বৃষ্টির হয়তো দরকার ছিল। তবে এটা নতুন নয়। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এ রাজ্যে পরপর নিম্নচাপের দাপট দেখে অভ্যস্ত রাজ্যের মানুষ। দুর্গাপুজোর সময়েও তাই বৃষ্টির একটা আশঙ্কা নিয়ে চিন্তায় থাকেন সাধারণ মানুষ থেকে পুজো উদ্যোক্তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা