National

১৯৬২ সালের পর এমন অক্টোবর কাটায়নি রাজধানী

১৯৬২ সালের পর এমন একটা অক্টোবর মাস শহরবাসীর জীবনে আর আসেনি। কোভিডের পাশাপাশি ২০২০ এজন্যও হয়তো মনে থাকবে শহরের বাসিন্দাদের।

নয়াদিল্লি : ২০২০ সালটা অনেকেরই মনে থাকবে করোনার কারণে। এ সাল ভোলার নয়। তবে দিল্লিবাসীর কাছে এটা আরও একটা কারণে মনে থাকবে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া একটি খতিয়ান তেমনই নিশ্চিত করেছে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে অক্টোবরে দিল্লিতে গড় তাপমাত্রার পারদ যেখানে নেমেছে এত ঠান্ডা অক্টোবর ১৯৬২ সালের পর আর দেখেনি রাজধানী।


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এবার দিল্লির পারদ অক্টোবরে গড়ে থেকেছে ১৭.২ ডিগ্রি। যা ১৯৬২ সালের পর দেখা যায়নি। ১৯৬২ সালে অবশ্য পারদ আরও নিচে ছিল। ছিল ১৬.২ ডিগ্রিতে।

দিল্লির পারদ গত বৃহস্পতিবার নামে ১২.৫ ডিগ্রিতে। যা গত ২৬ বছরে কখনও নামেনি। সব মিলিয়ে গোটা অক্টোবর জুড়েই দিল্লির পারদ কিন্তু নিচের দিকেই থেকেছে। ফলে দিল্লি ১৯৬২ সালের পর শীতলতম অক্টোবর দেখল ২০২০ সালে।


দিল্লিতে অক্টোবরের কোনও একটা দিনে সবচেয়ে নিচে পারদ নামার রেকর্ড অবশ্য রয়েছে ৯.৪ ডিগ্রির। ১৯৩৭ সালে এখানেই নেমেছিল পারদ। তারপর থেকে অক্টোবরে এতটা নিচে পারদ কখনও নামেনি।

কেন অক্টোবরেই এমন ঠান্ডা পড়ল দিল্লিতে? আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে এরজন্য দায়ী হাওয়ার প্রায় কোনও গতিই না থাকা। তার ওপর দিল্লির আকাশে মেঘের কণাটুকু নেই। ঝকঝকে পরিবেশ। দারুণ সুন্দর রোদ উঠছে। হাওয়ার গতি না থাকায় দিল্লি জুড়ে কুয়াশার চাদর পরতে শুরু করেছে। যা দ্রুত পারদকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে।

বিগত অনেক বছরে অক্টোবরে হেমন্তের পরশ দিল্লির গায়ে লাগলেও এমন শীতের আমেজ কাবু করেনা শহরটাকে। কিন্তু এবার সেটাই হল। কলকাতাবাসীর গায়ে যখন সবে ভোরের দিকে উত্তুরে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে দিল্লির পারদ তখন শীত এনে দিয়েছে। দিল্লির সর্বনিম্ন পারদ গত বৃহস্পতিবার রেকর্ড হয় ১২.৫ ডিগ্রি। যা কলকাতায় শীতের সময় থাকে।

আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে যা পরিস্থিতি বজায় রয়েছে তাতে পারদ আরও নামবে। নভেম্বরের শুরুতেই পারদ আরও নামবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

ফলে দিল্লি এবার জ্যাকেট, সোয়েটার, শালে মুড়ে দেওয়ালি পালন করতে চলেছে বলে মনে করছেন খোদ দিল্লিবাসীই। ইতিমধ্যেই গরমের সব পোশাক ঝেড়েঝুরে নামিয়ে ফেলেছেন দিল্লির মানুষজন। তা গায়েও চড়তে শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button