সারাদিন মেঘে ঢাকা আকাশে শীতের পদধ্বনি
শনিবার ভোরের দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। সকালের পর বৃষ্টি না হলেও আকাশের মুখ ভার। যা আদপে বয়ে আনল সুসংবাদ। রাজ্যে পা রাখতে চলেছে শীত।
কলকাতা : মেঘলা আকাশ বয়ে আনল বার্তা। শীত আসার আগমন বার্তা। শনিবার অনেকেরই ভোররাতে ঘুম ভেঙে যায়। ঘরের বাইরে তখন অঝোর বর্ষণ। এমন সময় এত বৃষ্টি! স্পষ্ট পাওয়া যাচ্ছে সোঁদা গন্ধ। অন্ধকার তো তখনও কাটেনি। যদিও ঘড়ির কাঁটা বলছে ভোর ৪টে বেজে গেছে।
অনেক জায়গায় শনিবার এই ভোররাতে অঝোর বর্ষণ হয়েছে বেশি কিছুটা সময় ধরে। রাত ৪টের পর থেকে ভোর ৬টার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়। একটা জোলো হাওয়া শুক্রবার থেকেই দিচ্ছিল। তাই যে ভোররাতে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে তার পূর্বাভাস ছিলই।
শনিবার ভোররাতের বৃষ্টির পর অবশ্য আর বৃষ্টি হয়নি। তবে এ রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় আকাশের মুখ ছিল ভার। মেঘে ঢাকা ছিল আকাশ।
অগ্রহায়ণে এমন একটা বর্ষার পরিবেশ কেন? হাওয়া অফিস অবশ্য বলছে এই বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশের পিছনেই লুকিয়ে আছে শীতের আগমনের পদধ্বনি। এই মেঘ কাটলেই রাজ্যে শীতের প্রভাব পড়বে। ঠান্ডা পড়বে রাজ্যে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে আগামী সোমবার থেকেই শীত পড়বে। ঠান্ডা বেশ অনুভূত হতে শুরু করবে। ফলে যাঁরা অগ্রহায়ণ পড়ে গেলেও শীতের দেখা নেই বলে হাপিত্যেশ করছিলেন তাঁদের অপেক্ষার দিন হয়তো শেষ হচ্ছে।
এই মেঘ-বৃষ্টির হাত ধরেই এ রাজ্যে প্রবেশ করছে শীত। ফলে নভেম্বরের শেষে বেশ ঠান্ডা পেতে চলেছেন রাজ্যের মানুষ। ২ বঙ্গেই পারদ পতন হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস।
এবার অনেকেই মাঝে একটু ঠান্ডা বাড়ার পর আলমারি থেকে গরম পোশাক বার করে ফেলেছিলেন। শাল, সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, লেপ সবই বার করে কড়া রোদে কয়েকদিন দেওয়া হয়ে গেছে অনেকের। কিন্তু তারপরই ফের একটা গরম পরিবেশ তৈরি হয়। যাতে গরম পোশাকের আর দরকার হয়নি। ফলে সবই রাখা ছিল একধারে। আগামী সোমবার থেকে হয়তো শীতের ছোঁয়ায় সেগুলির সদ্ব্যবহার হতে চলেছে।