পশ্চিমবঙ্গে নামছে পারদ, ১৭ বছরে শীতলতম নভেম্বর দেখল রাজধানী
মেঘ সরলেই যে পারদ পতন শুরু হবে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেইমত পারদ তরতর করে নামতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গে।
কলকাতা ও নয়াদিল্লি : শুক্রবার থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। গরমও বোধ হচ্ছিল। পারদও চরছিল। শনিবার ভোরে তো একপ্রস্ত বৃষ্টিও হয়ে যায়। ভোরে বৃষ্টি থামলেও আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছিল এই মেঘ-বৃষ্টির হাত ধরেই রাজ্যে শীতের প্রভাব বাড়তে শুরু করবে।
সোমবার থেকেই শীত পড়তে শুরু করবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। শনিবার দিনভর মেঘলা আকাশ থাকলেও রবিবার ভোর হয় ঝলমলে আকাশেই। রোদও ওঠে ঝলমলে। তারসঙ্গে পারদও পড়। অনেক জায়গায় ৫ ডিগ্রি পর্যন্তও পারদ পতন হয়েছে।
রবিবার ভোরেই কিন্তু বোঝা গিয়েছিল সেই গরম ভাবটা আর নেই। বৃষ্টির পর জোলো ঠান্ডার অনুভূতিটাও শনিবারের মত আর নেই। যা আছে তা হল ঝকঝকে রোদ আর ঠান্ডার অনুভূতি।
রবিবার থেকেই ঠান্ডার অনুভূতিটা বোঝা যেতে শুরু করল। সোমবার পারদ আরও নামবে বলেই পূর্বাভাস। সকালের দিকে রবিবারও কুয়াশা ছিল। বেলা বাড়লে তা কেটে যায়। শীতের গন্ধটা এবার এসেই পড়ল খোদ শহর কলকাতাতেও।
রবিবার ঠান্ডায় রেকর্ড গড়েছে দিল্লিও। ঝলমলে আকাশ, দূষণ মাত্রা কম, এসবের হাত ধরে এবার দিল্লি অক্টোবর থেকেই রেকর্ড ঠান্ডার মোড়কে। নভেম্বরেও রবিবার তারা রেকর্ড গড়ল।
১৭ বছর পর দিল্লিতে নভেম্বরে এতটা নিচে নামল পারদ। রবিবার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬.৪ ডিগ্রি। এর আগে ২০০৩ সালে ২৯ নভেম্বর দিল্লির পারদ নেমেছিল ৬.১ ডিগ্রিতে। ১৭ বছর পর ফের পারদ এতটা নামল। আবহাওয়া দফতর অবশ্য মনে করছে চলতি নভেম্বরেই আরও পারদ পতন দেখবে দিল্লি।
শ্রীনগরেও পারদ পতন অব্যাহত। হুহু করে নামছে পারদ। শ্রীনগরে মাইনাস ৩ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে তাপমাত্রা। যা এখনও পর্যন্ত এই মরসুমে শ্রীনগরের শীতলতম দিন।
কাশ্মীরের অনেক জায়গাতেই এখন বরফ পড়ছে। নিয়মিতভাবেই তুষারপাত হচ্ছে। সাদা বরফের চাদরে ঢাকা পরেছে গোটা উপত্যকা। হিমাচল প্রদেশেও তুষারপাত অব্যাহত। এভাবে কাশ্মীর ও হিমাচলে তুষারপাত নভেম্বরেই উত্তর ভারতকে কনকনে ঠান্ডায় মুড়ে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা