Kolkata

২ দিনে ৭ ডিগ্রি পড়ে কলকাতার পারদ নামল ১৫.৫ ডিগ্রিতে

গত শনিবার যেখানে কলকাতার সর্বনিম্ন পারদ ছিল ২২ ডিগ্রিতে, সেখানে সোমবার তা নেমে এল ১৫.৫ ডিগ্রিতে। সোমবার সকাল থেকেই ঠান্ডা টের পাচ্ছেন শহরবাসী।

কলকাতা ও নয়াদিল্লি : সোমবার থেকে কলকাতায় শীতের অনুভূতি বোঝা যাবে। একথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। হলও তাই। সোমবার কলকাতার পারদ নেমে পৌঁছে গেল ১৫.৫ ডিগ্রিতে।

শীতের অনুভূতিটা স্পষ্ট। গত শনিবার যেখানে কলকাতার সর্বনিম্ন পারদ ছিল ২২ ডিগ্রিতে, সেখানে সোমবার তা নেমে এল ১৫.৫ ডিগ্রিতে। অর্থাৎ মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে ৭ ডিগ্রি পড়েছে পারদ।


সোমবার সকালে ঝলমলে আকাশে ঠান্ডার পরশ মেখেছে শহর। অনেককেই এদিন গরম পোশাকে গা ঢেকে সকালে রাস্তায় দেখা গেছে। পারদ আরও পড়বে বলেই পূর্বাভাস রয়েছে।

কলকাতার সঙ্গে সঙ্গে জেলাগুলিতেও তরতর করে নামছে পারদ। আগামী ২ থেকে ৩ দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে পারদ ২ থেকে ৩ ডিগ্রি নামবে বলেই পূর্বাভাস রয়েছে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আকাশ পরিস্কার থাকলে যে পারদ পতন হবে তা অনুমেয়।


এদিকে সকালের দিকে কলকাতা সহ জেলাগুলিতে কুয়াশার চাদর ক্রমশ পুরু হচ্ছে। বেলা পর্যন্ত এই চাদর দেখা গেছে। রোদ চড়া হলে পরিস্কার হয়েছে চারধার। এদিন ঠান্ডা হাওয়ার দাপটও রয়েছে। সকালেই বোঝা যায় রাতে পারদ আরও পড়বে।

বঙ্গোপসাগরে কিন্তু এরমধ্যেই একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা সক্রিয় হয়েছে। তবে তার অভিমুখ রয়েছে তামিলনাড়ুর দিকে। আগামী বুধবার তা তামিলনাড়ুতে ঢুকে পড়বে বলে পূর্বাভাস। এরফলে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের একটা বড় অংশ জুড়ে বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

জম্মু কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ জুড়ে গত কদিনে যথেষ্ট তুষারপাত হয়েছে। তবে গত একদিনে কিছুটা বৃষ্টিও হয়েছে কাশ্মীরে। ফলে রাতের দিকে পারদ কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তর ভারতের ওপর মেঘ রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। ভূমধ্যসাগরে তৈরি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পাকিস্তান হয়ে উত্তর ভারতে ঢুকছে। ফলে বৃষ্টি আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস। পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাতের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে দিল্লির পারদ পড়েই চলেছে। আর দিল্লি নভেম্বরে তার শীতলতম দিনের রেকর্ড প্রতিদিনই ভেঙে দিচ্ছে। এদিন পারদ নেমেছে ৬.৩ ডিগ্রিতে। নভেম্বরে এতটা পারদ পতন দিল্লিতে ১৭ বছর আগে একবার হয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button