
সন্ধে থেকেই তেজ বাড়িয়েছিল বৃষ্টি। আর রাত যত বেড়েছে বৃষ্টি যেন ততই শক্তি সঞ্চয় করেছে। প্রবল বৃষ্টিতে রাত থেকেই সকালের শহরের চেহারা নিয়ে প্রমাদ গুনতে শুরু করেন শহরবাসী। এদিকে টানা বৃষ্টিতে দামোদর, ময়ূরাক্ষী সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিভিসির জল ছাড়া। এদিন ৬৬ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। ডিভিসির জল ছাড়ার জেরে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া নিয়ে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ডিভিসি জল ছাড়ার পর আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে নবান্ন। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জেলাগুলির জেলা প্রশাসনকে সদা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ওপর অবস্থান করা নিম্নচাপটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় তার জেরে রাত থেকে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। যা বাস্তবে দেখতেও পেয়েছেন শহরবাসী। তবে নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি ক্রমশ ঝাড়খণ্ডের দিকে সরছে ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নদিয়া, বীরভূম, বর্ধমানের মত জেলাগুলিতে অতিভারী বর্ষণ হবে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে ঝাড়খণ্ডের দিকে নিম্নচাপটি সরে গিয়ে দুর্বল হলে একরকম। আর তা যদি না হয়, অর্থাৎ সেখানে অতিভারী বৃষ্টি হয়, তাহলে ফের ডিভিসি জল ছাড়তে পারে। ফলে সতর্ক নবান্ন। কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।