পাহাড়ে যা চলছে তা অস্বাভাবিক, কখনওই কাম্য নয়, চিন্তায় গবেষকেরা
দেশবাসীর জন্য হাত বাড়ালেই বিশ্বের তৃতীয় মেরু। সেখানেই যা শুরু হয়েছে তা কারও কাম্য হতে পারে না। ফলে প্রবল চিন্তায় পড়েছেন গবেষকেরা।
হিমালয় শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে বরফের কথা। নিঃসীম বরফের বাসস্থানই হিমালয়। সেই বরফ কি সত্যিই এখনও সুরক্ষিত? হিমালয়ে মাইলের পর মাইল জুড়ে যে বরফের বিপুল রাশি ছড়িয়ে আছে তার আয়ু আর কতদিন? কতদিন সেখানকার হিমবাহগুলির স্থায়িত্ব?
প্রশ্নগুলি উঠছে কারণ বিজ্ঞানীরা বলছেন হিমালয়ে যে গতিতে বিভিন্ন হিমবাহ গলে যাচ্ছে তা বিশ্বের আর কোথাও হচ্ছেনা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই ছড়িয়ে আছে হিমবাহ। কিন্তু হিমালয়ের হিমবাহ হুহু করে গলছে। যা অবশ্যই প্রবল চিন্তার কারণ। সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ এশিয়ার জন্য।
কত দ্রুত গলছে বরফ? গবেষকেরা জানাচ্ছেন, হিমালয়ে ইতিমধ্যেই মাত্র কয়েক বছরে হিমবাহগুলি তাদের ৪০ শতাংশ জায়গা হারিয়েছে। এতটাই গলেছে বরফ।
গত কয়েক দশকের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত গলছে বরফ। বিজ্ঞানীরা আরও যে তথ্য পেশ করেছেন তা শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বইয়ে দিতে পারে। কতটা বরফ হিমালয়ের গলে গেছে তা বোঝাতে গিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত হিমালয়ের হিমবাহ থেকে যত বরফ গলেছে তা ইউরোপিয়ান আল্পস, ককেশাস এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়া জুড়ে যত বরফ আছে তার সমান।
এই বরফ গলার ফলে তার প্রভাব গিয়ে পড়ছে জলভাগে। সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। যা মানবসভ্যতার জন্য কখনই কাম্য নয়। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন হিমালয়ের হিমবাহে যত বরফ রয়েছে তা বিশ্বের ২ মেরুর বরফের পরিমাণের পরেই রয়েছে। তাই হিমালয়কে তৃতীয় মেরু বলা হয়। সেই হিমালয়ের বরফ গলার খবরে গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানী মহল চিন্তায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা