
পুজো প্রায় শেষ লগ্নে। নবমীর রাত মানে সেই শেষ লগ্নের আনন্দটুকু চেটেপুটে উপভোগ করার দিন। কিন্তু বিকেল থেকেই শহর জুড়ে প্রবল বৃষ্টি কার্যত ধুয়ে দিল সেই আনন্দ। কেটে দিল বছরকার দিনের যাবতীয় সুর। তবে শহরকে কাবু করতে পারেনি বৃষ্টিঅসুর। ভিজে ভিজেই মানুষ বেরিয়েছেন রাস্তায়। ঘুরেছেন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। কিন্তু কাদা প্যাচপ্যাচে রাস্তা, মাথায় ছাতা, গায়ে রেনকোট বা বৃষ্টি এলেই কোনও ছাউনি খুঁজে তার তলায় দাঁড়ানো তাঁদের স্বাভাবিক আনন্দটাকে কোথাও যেন শুষে নিয়েছে। ফলে ১৬ আনা আনন্দটা হল কই! এই দিনটার জন্য কেউ প্ল্যান সাজিয়েছেন একমাস আগে থেকে, তো কেউ হালে। কত প্ল্যান থাকে। খাওয়া থাকে। প্যান্ডেল হপিং থাকে, নবমী নিশিতে ভিড়ে মেশা প্রেম থাকে। সেই সব আনন্দ যত সুন্দর করে শুকনো দিনে হতে পারত, তা কী বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সম্ভব! হয়তো না। আর তাই নবমী রাতের বাৎসরিক বিষাদের মাঝে আরও এক মূর্তিমান বিষাদ হয়ে পুজোয় জল ঢালল বৃষ্টি। ওড়িশা উপকূলের ওপর সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তের জেরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল ষষ্ঠী থেকেই। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমীর সকাল বা দুপুর ভাসালেও সন্ধেটা রেহাই দিয়েছিলেন বরুণদেব। কিন্তু নবমীতে সে গুড়ে বালি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এই বৃষ্টি কমা দূরে থাক, বিজয়ার দিন আরও বাড়বে। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গও সমানভাবে ঘূর্ণাবর্তের দাপটে বানভাসি হবে। ফলে হয়তো বা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই পিতৃালয় ছেড়ে ফের কৈলাসের পথে পাড়ি দিতে হবে উমাকে।