শুকিয়ে গেছে একের পর এক নদী, খরার কবলে অর্ধেক মহাদেশ
একটা দেশে খরার কথা শোনা যায়, কিন্তু একটা মহাদেশের অর্ধেক খরা কবলিত একথা শোনা যায়নি। কিন্তু বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে। পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হচ্ছে।
নদীগুলো যে এক এক করে শুকিয়ে যাচ্ছে সে খবর তো পাওয়া যাচ্ছিলই। এমনকি মহাদেশের অন্তর্গত বিভিন্ন দেশের বুক চিরে বয়ে যাওয়া বিখ্যাত নদীগুলি এক এক করে শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেক নদীর জলই এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। অনেক জায়গায় সেটুকু জলও নেই।
টেমস নদীর তো উৎসস্থলই শুকোচ্ছে। যেসব নদীর তলদেশ দেখাই যেত না, সেখানে এখন মানুষ হেঁটে বেড়াচ্ছেন। আর এর ২টি প্রধান কারণ। মে মাসের পর থেকে প্রায় বৃষ্টি শূন্য পরিস্থিতি এবং একের পর এক হানা দেওয়া তাপপ্রবাহ।
হালফিলের একটি খতিয়ান বলছে ইউরোপের অর্ধেকটাই এখন খরা কবলিত। মহাদেশের ৪৭ শতাংশ এলাকা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। যার মধ্যে ১৭ শতাংশের পরিস্থিতি শোচনীয়।
বিভিন্ন দেশের মানুষ এমন রেকর্ড ভাঙা গরম সহ্যই করতে পারছেন না। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। জলাভাব কিছু জায়গায় দেখা দিয়েছে। রাস্তায় পারতপক্ষে কম বার হচ্ছেন সকলে।
শরীর জুড়োতে অনেক শহরের ফোয়ারাগুলিতে মানুষকে স্নান করতেও দেখা যাচ্ছে। অনেককে ফোয়ারার জলে ঠায় বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
এরমধ্যেই আবহবিদেরা আরও খারাপ খবর শুনিয়েছেন। তাঁদের হিসাব বলছে ইউরোপ জুড়ে এই শুকনো পরিস্থিতি, অনাবৃষ্টি, তাপপ্রবাহ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
এখনই টিকে থাকা দায় হয়েছে মানুষের, এখনও নভেম্বর পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চললে তাঁরা বাঁচবেন কীভাবে এমন প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা