সিত্রাংয়ের জন্য একটু দেরি হলেও দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে বর্ষা
বর্ষা এসে গেল। সিত্রাংয়ের প্রভাবে একটু দেরি হল এই যা। বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢুকছে বর্ষা।
বর্ষা এসে গেল। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে শনিবারই বর্ষা প্রবেশ করছে। আরও একটু আগেই ঢুকতে পারত বর্ষার মেঘ। তবে সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
সিত্রাং মধ্য বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ঘেঁষে বাংলাদেশে পৌঁছয়। সেখানে ক্ষয়ক্ষতিও যথেষ্ট করে। ফলে বঙ্গোপসাগরের ওপর স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিলনা। তার জেরে একটু দেরি হয়ে গেল।
তবে ঘূর্ণিঝড় কেটে গিয়ে এখন আকাশ পরিস্কার। তাই বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণভাগে তৈরি হওয়া উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু এবারে ধেয়ে আসছে। ফলে শনিবার থেকেই বর্ষা ঢুকছে তামিলনাড়ুতে।
কুড্ডালোর, তাঞ্জাভুর, তিরুচিরাপল্লি, নাগাপত্তিনাম সহ মোট ২০টি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ক্রমশ এই মৌসুমি বায়ু ছড়িয়ে পড়বে তামিলনাড়ু জুড়ে। সেইসঙ্গে আস্তে আস্তে তা ছড়িয়ে পড়বে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে।
উত্তর ভারতে যখন ক্রমশ বর্ষা বিদায় নিয়ে শীত পড়তে শুরু করে, হেমন্তের পরশ শুরু হয়, তখন দক্ষিণ ভারতে দ্বিতীয় দফায় বর্ষা প্রবেশ করে। সেই বর্ষা প্রবেশ ঘটতে চলেছে শনিবার থেকে।
ফলে উত্তর যখন সোয়েটার, কম্বল, জ্যাকেট ঝেড়ে বার করছে, তখন দক্ষিণ ছাতা নিয়ে বার হবে রাস্তায়। ভারী বৃষ্টির জন্য তৈরি থাকতে হবে সেখানকার মানুষকে।
তামিলনাড়ু সহ পুদুচেরিতেও বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যখন ক্রমশ হিমেল পরশ তার দাপট বাড়াচ্ছে, ঠিক তখন দক্ষিণে ক্রমশ ক্ষমতা বাড়াচ্ছে বৃষ্টি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা