কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে শহর থেকে গ্রাম, কবে থেকে চড়বে পারদ, মিলল পূর্বাভাস
হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা বাংলা। কলকাতা থেকে অন্যান্য জেলা, ঠান্ডার কামড় অব্যাহত। এই ঠান্ডার দাপট কবে থেকে কমবে তার পূর্বাভাস মিলল।
রাজধানী দিল্লিতে পারদ পৌঁছে গেছে ১ ডিগ্রির ঘরে। রাজস্থানের অনেক জায়গায় পারদ শূন্য ডিগ্রি। গোটা উত্তর ভারত ঠকঠক করে কাঁপছে। সঙ্গে সেখানে আবার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কুয়াশার দাপট। ঠান্ডায় কানপুরে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের।
শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র প্রবল ঠান্ডায় গৃহবন্দি অনেকে। খুব দরকার না পড়লে বাইরে বার হচ্ছেন না মানুষজন। পশ্চিমবঙ্গেও ঠান্ডার দাপট হাড়ে হাড়ে মালুম পাচ্ছেন সকলে।
শহর থেকে গ্রাম এখানেও কাঁপুনি ধরাচ্ছে ঠান্ডা। ভর দুপুর বাদ দিলে রোদে দাঁড়িয়েও ঠান্ডা কমছে না। ইতিমধ্যেই কলকাতার পারদ ১০-এর ঘরে নেমেছে।
এখনও তা ১১ বা ১২ ডিগ্রির ঘরেই ঘোরাফেরা করছে। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় পারদ এখন ডিগ্রির হিসাবে ১ অঙ্কের ঘরে ঘোরাফেরা করছে।
রাজ্যে এই পারদ পতন নিয়ে অনেক অভিযোগ, ক্ষোভ জমাট বেঁধেছিল মানুষের মনে। ডিসেম্বরের শেষেও ছিলনা ঠান্ডার পরশ। কিন্তু জানুয়ারিতে পা দিতেই বদলে গেল আবহাওয়া। মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে কনকনে ঠান্ডার চাদরে ঢাকা পড়ে যায় গোটা রাজ্য।
সেই ঠান্ডা এখনও অব্যাহত। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে এখনও ২ থেকে ৩ দিন এমন কনকনে ভাব বজায় থাকবে। তারপর থেকে পারদ সামান্য চড়বে ঠিকই, তবে ঠান্ডা উধাও হচ্ছেনা। ঠান্ডা এখনও জানুয়ারির অনেকগুলো দিনই বজায় থাকবে।
পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শৈত্যপ্রবাহ না হলেও প্রায় একই পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। রাজ্য জুড়েই ঠান্ডা হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে।
এ রাজ্যের একটা বড় অংশেই ঠান্ডা ক্ষণিকের অতিথি হয়ে বছরের মাত্র কটা দিন বেড়াতে আসে। বাকি বছরটা হয় বর্ষা নয়তো প্যাচপ্যাচে গরমে কাটাতে হয়। তাই এই কটা দিনে ঠান্ডা যতই জবুথবু করে দিক না কেন, অনেকেই বেশ তারিয়ে উপভোগ করছেন এই শীতল পরশ।