সুতোয় ঝুলছে পাহাড়ের কাছে থাকা দেড় কোটি মানুষের প্রাণ, আগাম জানালেন বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানীরা এবার যে সতর্কবাণী শোনালেন তাতে হৃদকম্পন শুরু হতেই পারে। উঁচু পাহাড়ের কাছে থাকা দেড় কোটি মানুষের প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনার কথা জানালেন তাঁরা।
আগাম সতর্কতা বলা যায়। এজন্য কি করা যায় তাও অবিলম্বে ভাবার সময় এসেছে। কারণ দেড় কোটি মানুষের প্রাণ সুতোয় ঝুলছে। যে কোনও মুহুর্তে যে কোনও কিছু ঘটে যেতে পারে।
এই দেড় কোটি মানুষ হলেন উঁচু পাহাড়ে বা তার কাছে থাকা মানুষজন। তাও আবার এশিয়ার উঁচু পাহাড়ের কাছে থাকা মানুষ এবং আন্দিজ পর্বতমালার কাছে থাকা মানুষজন।
নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যান্টারবেরি স্কুল অফ আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট-এর গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতির একটা বড় কারণ হিমবাহ থেকে তৈরি হওয়া হ্রদ।
তাঁরা জানাচ্ছেন, ১৯০০ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত এশিয়া এবং আন্দিজের অনেক হিমবাহ খুব দ্রুত গলেছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণেই তা হয়েছে।
এভাবে দ্রুত হিমবাহ গলে যাওয়ায় প্রচুর জল তৈরি হয়েছে। যা উঁচু সব পাহাড়ের নানা জায়গায় হ্রদ সৃষ্টি করেছে। সেসব হ্রদ তৈরি হয়েছে প্রাকৃতিক নিয়মে। প্রকৃতিই সেসব জলকে চারধার থেকে ধরে রেখেছে।
কিন্তু যেভাবে জল বাড়ছে, হিমবাহ গলছে তাতে যেকোনও সময় যেকোনও এমন হ্রদের জল প্রকৃতি ধরে রাখতে অক্ষম হবে। তখন সেই জল এক ভয়ংকর বন্যার সৃষ্টি করবে। যা বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেবে।
বিষয়টি যে কোনও সময় ঘটতে পারে। অনেক জায়গায় ঘটতে পারে। ফলে সেই হ্রদের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যে জনবসতি পড়বে তা জলের তোড়ে ভেসে যাবে। বহু মানুষের প্রাণ যাবে। এই ক্ষয়ক্ষতি কীভাবে আটকানো যায় তার পথ খোঁজার বিষয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা