ডব্লিউএমও-র রিপোর্ট দেখে বুক কেঁপে উঠল বিশ্ববাসীর
বিশ্বজুড়ে কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এবং তা কোথায় পৌঁছে গেছে তার খবর দিল ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউএমও।
জলবায়ুর পরিবর্তন যে ক্রমশ ভয়ংকর চেহারা নিচ্ছে তা খোদ বাংলার গরমের চরিত্র বদল থেকেই স্পষ্ট। ক্লাইমেট চেঞ্জ শব্দটা যাঁরা শুনেছিলেন এতদিন এবার বাংলার শুকনো গরমে তা হাড়ে হাড়ে টেরও পেয়েছেন।
কিন্তু এই জলবায়ু পরিবর্তন যে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তার একটা ইঙ্গিত মিলল ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউএমও-এর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে।
এই রিপোর্ট জানার পর বিশ্ববাসীর বুক কাঁপতে শুরু করেছে। যেখানে যেখানে এই জলবায়ু পরিবর্তন থাবা বসিয়েছে তা শুনেই তাঁদের কথা সরছে না।
ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ২০২২ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানাচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুত হচ্ছে। আর তা এখন বরফে ঢাকা পাহাড়ের চুড়োতেও পৌঁছে গেছে। আবার সমুদ্রের জলের তলাতেও পৌঁছে গেছে।
সব মিলিয়ে যার থেকে একটা কথা স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তন বদলে দিচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি অংশকে। জলবায়ু পরিবর্তনের যে মারণ রূপ তা আর কোথাও পৌঁছতে বাকি নেই!
ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন জানাচ্ছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি হিমবাহ কার্যত গলে গিয়েছে। গ্রিন হাউস গ্যাসের হাত ধরে গরম বাড়ছে। বিশ্বজুড়েই তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। যখন তখন হানা দিচ্ছে খরা, বন্যা।
এক চরম রূপ ধরা পড়ছে প্রকৃতির। আর তা আরও বদলাচ্ছে। ফলে তা আরও ভয়ানক হতে চলেছে। মেরু অঞ্চলের বরফের পুরু চাদর পর্যন্ত গরমে গলে পাতলা হতে শুরু করেছে।
এদিকে খরা, বন্যা বা তাপপ্রবাহের ভয়ংকর প্রভাব বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দেখাই গেছে। প্রতিবেশি পাকিস্তানে যে বন্যা ২০২২-এ দেখা গেছে তা বিশ্ববাসীকে হতবাক করে দিয়েছে। খোদ বাংলা যে তাপপ্রবাহ ইতিমধ্যেই চলতি বছরে দেখেছে তা চিন্তার ভাঁজ পুরু করার জন্য যথেষ্ট। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা