আদৌ এবার ভাল বৃষ্টি হবে তো, আবহাওয়া দফতরের কথায় বুক কাঁপছে আমজনতার
বর্ষায় জল ভরা মেঘই স্বাভাবিক। কিন্তু এবার জল ভরা নয়, বরং আশঙ্কার মেঘের ঘনঘটাই দেখছে আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির পথে বড় কাঁটাই চিন্তা।
বর্ষা কেমন হবে প্রতিবছর তার আগাম একটা আন্দাজ দেওয়ার চেষ্টা করে আবহাওয়া দফতর। সেই আন্দাজমত ছিল বর্ষা স্বাভাবিক। কিন্তু বর্ষার ঢুকতে দেরি এবং এখনও কিছু জায়গায় অতিবৃষ্টি বাদ দিলে বর্ষার দাপট সেভাবে দেখা না যাওয়াটা নতুন চিন্তার কারণ হচ্ছে।
অসম, উত্তরবঙ্গ ভাসলেও দক্ষিণবঙ্গ সহ দেশের অনেক জায়গায় সেই বৃষ্টির দেখা নেই। আর তার কারণ হিসাবে এল নিনোর প্রভাবকে কাঠগড়ায় চাপাচ্ছেন আবহবিদেরা।
এল নিনো অর্থাৎ পূর্ব ও মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের জলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া যে ভারতে মৌসুমি বায়ুকে প্রভাবিত করে, তাকে দুর্বল করে তা মেনে নিচ্ছেন আবহবিদেরা। এবার আবার সাগরের জল গরমের প্রভাব ভারত মহাসাগরেও পড়েছে।
ফলে ভারতে বর্ষার ওপর জোড়া কাঁটা এবার প্রভাব ফেলছে। যার জেরে কার্যত বর্ষার ঘাটতি দেখতে হতে পারে চলতি বছরে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এল নিনো যা পরিস্থিতিতে রয়েছে তাতে তা আরও শক্তিশালী হবে। যা চলবে ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক পর্যন্ত।
অর্থাৎ প্রশান্ত মহাসাগরের জল আরও গরম হবে। ভারতে যার প্রভাব বর্ষার মাঝামাঝি সময় থেকেই পড়বে। আর তার জেরে বৃষ্টিতে ঘাটতি দেখতে হতেই পারে।
ফলে বর্ষা ঢোকার পর এখন যেটুকু সক্রিয় রয়েছে তা বর্ষাকালের মাঝামাঝি পর্যায় থেকে নাও দেখা যেতে পারে। এটা অবশ্যই ভারতের জন্য সুখবর নয়।
মানুষ তো সমস্যায় পড়বেনই, সেইসঙ্গে কৃষি উৎপাদনে বড় ধাক্কা হতে পারে। যার সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়বে দেশের অর্থনীতি আর সাধারণ মানুষের পকেটে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা